যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন, টেক্সাস ও সিয়াটলে বর্ণবাদ বিরোধী ‘ব্ল্যাকস লাইভস ম্যাটার’ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ৪৫ জন আন্দোলনকারী ও ২১ জন পুলিশ আহত হয়েছেন।
এদিকে দেশটির অরেগন অঙ্গরাজ্যের অস্টিনে অস্ত্রধারী আন্দোলনকারীদের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। অ্যাফ্রো-আমেরিকান উগ্রপন্থীদের একটি গ্রুপ অস্টিন শহরে শর্ট রেঞ্জের অস্ত্র ও শর্টগান নিয়ে সশস্ত্র মিছিল বের করে। এসময় রাস্তার পাশে থাকা এক ব্যক্তির ওপর গুলি চালায় তারা। এঘটনায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বর্ণ-বৈষম্য ও পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রায় দুই মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে। ‘ব্ল্যাকস লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে উত্তাল আমেরিকা। এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিকাগোসহ দেশটির বড় বড় শহর ও অঙ্গরাজ্যগুলোতে ফেডারেল পুলিশ ও সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
ট্রাম্প মনে করেন, আন্দোলনকারীরা 'সন্ত্রাসী' ও ‘লুটেরা’! এমনকি তিনি কৃষ্ণাঙ্গ আন্দোলনকারীদের ১০ বছরের কারাদন্ডের হুমকিও দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটল শহরের পুলিশ দাবি করেছে, শনিবার বিকালে সিয়াটলে লাখো মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছিলো। আন্দোলনকারীদের কয়েকজন কিং কাউন্টি জুভেনাইল ডিটেনশন ফ্যাসিলিটি নির্মাণের এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ অস্ত্রের ব্যবহার করে। তবে এসব অস্ত্র প্রাণঘাতী ছিল না।
এ ব্যাপারে এক টুইটার পোস্টে সিয়াটল পুলিশ লিখেছে, ইস্ট প্রিসিংটে আজকের সংঘর্ষের ঘটনায় সংযোগ থাকার অভিযোগে রাত ১০টা নাগাদ ৪৫ জনকে গেপ্তার করা হয়েছে।
এসময় বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইট, পাথর, মর্টার ও অন্য বিস্ফোরকের আঘাতে আমাদের ২১ জন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কাজে ফিরতে পেরেছেন।
এদিকে টেক্সাসের পোর্টল্যান্ড ও ওয়াশিংটনের সিয়াটলে ফেডারেল এজেন্ট মোতায়েনের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই সিদ্ধান্ত আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নতুন করে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
টাইমস/এসএন