গ্রেপ্তার এড়াতে মিয়ানমারে রাত জেঁগে বিক্ষোভকারীদের টহল

অভ্যুত্থানের পরে গণতন্ত্রকামীদের বিক্ষোভের মুখে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত আইন ফের সচল করেছে মিয়ানমারের সেনা সরকার। এসব আইন সচল করায় দেশটিতে মানুষের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার সীমিত হয়ে পড়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে রাত জেঁগে টহল দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।

রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আন্দোলনকারীদের স্বাধীনতা সীমিত করতেই শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিতর্কিত কয়েকটি আইন আবারও চালু করেছে মিয়ানমারের সেনা সরকার।

দেশটিতে নতুন করে সচল করা আইনে বলা আছে, পরবর্তি ঘোষণা দেয়া না পর্যন্ত দেশটিতে এখন কারো বাড়িতে রাতে অতিথি রাখতে পারবে না, এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। এছাড়া এই আইনের ক্ষমতাবলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কোনো পূর্বানুমতি ছাড়াই যেকোন স্থানে তল্লাশি চালাতে পারবে।

এসব আইন সচল করার পর দেশটির কয়েকটি শহরের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের মাঝে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বাড়তে থাকে।

গ্রেপ্তার ও হয়রানি এড়াতে অধিকাংশ আন্দোলনকারী সারারাত কাটিয়ে দিয়েছেন রাস্তায়। ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আন্দোলনকারীদের গভীর রাতেও সড়কে ঘুরতে দেখা গেছে।

তবে গভীর রাতে দেশটির ইয়াাঙ্গুন ও মান্দালে শহরে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা যৌথ টহল দিয়েছে। এসময় আতঙ্কিত এলাকাবাসী রাস্তায় সমবেত হয়ে দলবদ্ধ ভাবে অবস্থান নেন।

বিবিসি জানিয়েছে, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিনশ সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকরা। যাদের অধিকাংশকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাতে।

এদিকে রোববারও মিয়ারমারের ইয়াঙ্গুনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। রাস্তায় নেমে এসেছেন চিকিৎসক, শিক্ষার্থীসহ পেশাজীবীরা। দেশটির গণতন্ত্রী নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে ক্রমেই জোরালে হচ্ছে আন্দোলন।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘তাজমহলের স্থানে মন্দির ছিল’, দাবি ভারতীয় মন্ত্রীর Dec 26, 2025
img
কলকাতায় বাংলাদেশি উপ-দূতাবাসের সামনে ফের বিক্ষোভ Dec 26, 2025
img
সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় জামায়াতে ইসলামী Dec 26, 2025
img
ঝিনাইদহে রাশেদ খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ Dec 26, 2025
যে কারণে বৃদ্ধার ওপর রাগলেন মহিলা! Dec 26, 2025
img
গুলিস্তানে বাণিজ্যিক ভবনের গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে Dec 26, 2025
img
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার, আসনপ্রতি লড়াই ৬১ জনের Dec 26, 2025
img
প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন উদ্বোধন রোববার Dec 26, 2025
img
শিবিরের নবনির্বাচিত সভাপতি-সেক্রেটারিকে নিয়ে জামায়াত আমিরের মন্তব্য Dec 26, 2025
img
হাদির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন সিবিউন ও সঞ্জয়’ Dec 26, 2025
img
বিচারের দাবিতে শাহবাগে রাতভর অবস্থানের ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের Dec 26, 2025
img
তারেক রহমানের আগমনের মধ্য দিয়ে সব ষড়যন্ত্রের সমাপ্তি ঘটেছে : গয়েশ্বর Dec 26, 2025
img
নাজিব রাজাক দুর্নীতির আরেক মামলায় দোষী সাব্যস্ত Dec 26, 2025
img
কিংসকে হারিয়ে জয় অব্যাহত রাখলো পুলিশ Dec 26, 2025
ভোলার চরফ্যাশনে মালচিং পদ্ধতিতে আগাম তরমুজ চাষে সাফল্য Dec 26, 2025
img
জাতীয় স্মৃতিসৌধে তারেক রহমানের অপেক্ষায় লাখো নেতাকর্মী Dec 26, 2025
img

নারায়ণগঞ্জ

লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ ২ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার Dec 26, 2025
img
ঢাকা-৮ আসনে লড়তে চান শহীদ ওসমান হাদির বোন মাসুমা হাদি Dec 26, 2025
img
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের বার্তা Dec 26, 2025
img
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ Dec 26, 2025