ভারতের উন্নয়নে জিন্নাহর ভূমিকা ছিল: শত্রুঘ্ন সিনহা

বিজেপি ছেড়ে সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেয়া সাংসদ ও অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছেন, ভারতের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে মহাত্মা গান্ধী, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধীর পাশাপাশি পাকিস্তানের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহরও অবদান ছিল।

মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ায় একটি নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

লোকসভা নির্বাচনে ছিন্দওয়াড়ায় কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ছেলে নকুল নাথ।

তাকে সমর্থন করে আয়োজিত জনসভায় শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ থেকে শুরু করে জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, রাহুল গান্ধী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু পর্যন্ত সকলেই কংগ্রেস পরিবারের সদস্য। এটা তাদের দল। আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নের জন্য উনাদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। অবদান রয়েছে। আর সে জন্যই আমি এই দলে এসেছি।’

বিহারের পাটনা সাহিব এলাকার বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন কংগ্রেসে যোগ দেয়ার পর থেকেই খবরের শিরোনাম হতে শুরু করেছেন। এ বার পাটনা সাহিবে বিজেপি তার বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে।

উত্তর প্রদেশে তার দল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনো জোট বা আসনে সমঝোতা হয়নি অখিলেশ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টির (সপা)। কংগ্রেস প্রার্থী দেয়া সত্ত্বেও লক্ষ্ণৌর প্রতিদ্বন্দ্বী সপা প্রার্থী স্ত্রী পুনমের হয়ে নির্বাচনী প্রচার করেছেন শত্রুঘ্ন। পরেও সেখানে কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করা তো দূরের কথা, যাননি কংগ্রেসের নির্বাচনী কার্যালয়েও।

আনন্দবাজার জানায়, বছরের শুরুতে বহুজন সমাজ পার্টির (বসপা) নেত্রী মায়াবতী স্পষ্টই জানিয়েছিলেন, কোনো মতেই জোট সম্ভব নয় কংগ্রেসের সঙ্গে। দেশের দুর্নীতির জন্য আগের কংগ্রেস সরকারগুলোরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। কিন্তু তারপরেও মায়াবতীকে ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো ব্যক্তিত্ব’ বলে উল্লেখ করেন শত্রুঘ্ন। কংগ্রেসে আসার পর সপা নেতা অখিলেশ যাদবেরও প্রশংসা করেন তিনি। তা নিয়ে বেশ কিছুটা হইচই কংগ্রেসের অভ্যন্তরে।

তবে এমন অভ্যাস আগেও ছিল শত্রুঘ্নের। যখন বিজেপিতে ছিলেন, তখন আগাগোড়াই সমালোচনা করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img

চাকসু নির্বাচন

‘বনকাগজ’ নিয়ে প্রচারণা করে তামিমের বাজিমাত Oct 16, 2025
img
যুক্তরাজ্যে জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের মামলা Oct 16, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু Oct 16, 2025
img
বজ্রসহ ভারী বৃষ্টি নিয়ে বিডব্লিউওটির সতর্কতা Oct 16, 2025
img
নারী ক্রিকেটারদের জন্য সুখবর: এবার ছেলেদের সমান ভাতা পাবেন তারা Oct 16, 2025
img
শিক্ষকদের ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বাড়িভাড়া দিতে সম্মতি Oct 16, 2025
img
চানখারপুলে ৬ হত্যা : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের অবশিষ্ট সাক্ষ্য দুপুরে Oct 16, 2025
img
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছে আরও ৩ শতাধিক বাংলাদেশি Oct 16, 2025
img
মধ্যরাতে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া Oct 16, 2025
img
রাকসু নির্বাচন: কঠোর নিরাপত্তায় কেন্দ্রে পৌঁছাল ব্যালট বাক্স Oct 16, 2025
img
লাবুবু ট্রেন্ডে গা ভাসালেন অমিতাভ বচ্চন Oct 16, 2025
ঐকমত্যের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে বক্তব্য দিলেন আশরাফ আলী আকন্দ! Oct 16, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Oct 16, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Oct 16, 2025
সাদা সাজে ঘরোয়া বাগদান, ইশরাকের মা জানালেন হঠাৎ করেই আয়োজন Oct 16, 2025
জগন্নাথ হলের চিত্র প্রদর্শনীতে আশ্বাস দিলেন ভিপি সাদিক Oct 16, 2025
মতপার্থক্য থাকলেও যে লক্ষ্য অর্জনের কথা জানালেন জুনায়েদ সাকি Oct 16, 2025
নির্বাচনের জন্য অতি আগ্রহ নিয়ে বসে আছেন জনগণ Oct 16, 2025
সব দলকে ডেকে নির্বাচন নিয়ে যে কথা জানিয়ে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা Oct 16, 2025
জুলাই সনদ ইস্যূতে যে সিদ্ধান্ত জানালো নাহিদ আক্তাররা Oct 16, 2025