খরচ বাঁচাতে আমেরিকায় হোটেলে থাকবেন না ইমরান

আগামী ২১ জুলাই তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রচুর টাকা খরচ করে বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পরিবর্তে, সেখানে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

সোমবার পাকিস্তানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সরকারি টাকার অপচয় রোধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন আসাদ মজিদ খান। সেখানে তার বাসভবনেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইমরান খান। যদিও প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এবং ওয়াশিংটন ডিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের।

বছরজুড়ে বিশ্বের অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ওয়াশিংটন সফরে যান। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব বর্তায় মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের ওপরেই। আবার ওই রাষ্ট্রনেতাদের আগমনে শহরে যানজট সংক্রান্ত সমস্যা যাতে না দেখা দেয়, স্থানীয় মানুষের রোজকার জীবনে যাতে প্রভাব না পড়ে, যৌথভাবে সেই দায়িত্ব সামলায় যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন।

ভারত, তুরস্ক, জাপানসহ একাধিক দেশের দূতাবাস রয়েছে ওয়াশিংটনের ওই এলাকায়। রয়েছে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বাসভবনও। সেখানে একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা, সংবাদমাধ্যম এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ইমরান। কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্রদূতের বাসভবন আকারে তেমন বড় না হওয়ায়, বৈঠক করতে ইমরানকে বার বার পাকিস্তানের দূতাবাসে যেতে হতে পারে। তাতেই দুশ্চিন্তা বেড়েছে সিক্রেট সার্ভিস এবং মার্কিন প্রশাসনের। কনভয় সমেত বারবার ইমরান রাস্তায় বেরোলে, তাতে যানজট সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা তাদের।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারের টাকা অপচয় রোধে  এর আগে নানা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। ক্ষমতায় এসে প্রথমেই মন্ত্রী-আমলাদের জন্য বরাদ্দ খাবারের পরিমাণে কাটছাঁট করেন তিনি। দেশ-বিদেশে বিমানে সফরের প্রয়োজন হলে মন্ত্রীদের প্রথম শ্রেণিতে যাত্রা করার বিষয়ে আপত্তি তোলেন। প্রেসিডেন্ট হোন বা প্রধানমন্ত্রী অথবা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সকলকেই বিজনেস ক্লাসে যাত্রা করার নির্দেশ দেন।

 

টাইমস/এসআই

 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সরকার চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুর্বৃত্তদের ধরতে পারে: রুমিন ফারহানা Dec 14, 2025
জয়া-রুনাকে নিয়ে চুমকির বক্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া নেটপাড়ায় Dec 14, 2025
দুই বছর অপেক্ষার পর ধামাকা এন্ট্রি দিয়ে ফিরলেন ফারিয়া Dec 14, 2025
সমুদ্রসৈকতে মিমের আবেদনময়ী লুক নেটমহলে তোলপাড় Dec 14, 2025
মেসির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন মমতা ব্যানার্জি Dec 14, 2025
img
‘প্রতি সপ্তাহে কোরিয়া যাই’- ফের আলোচনায় তান্যা মিত্তল Dec 14, 2025
img
শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা : প্রধান উপদেষ্টা Dec 14, 2025
img
হানিমুন শেষে উচ্ছ্বসিত সামান্থা, স্বামীর সঙ্গে খুনসুটির মুহূর্ত ভাইরাল Dec 14, 2025
img
মায়ের পদবি নয়, নিজের নামেই অন্বেষা Dec 14, 2025
img
মেসিকে না দেখার ক্ষোভে উত্তাল জনতা, উদ্যোক্তাকে তোপ টলিউডের Dec 14, 2025
img
অপরাধের রাজনৈতিক ট্যাগ প্রকৃত আসামিকে আড়াল করে : তাহেরি Dec 14, 2025
img
খালেদা জিয়া রাজনৈতিক অঙ্গনের জীবন্ত কিংবদন্তী : কবীর ভূইয়া Dec 14, 2025
img
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবিচল সাহস দেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় : রাষ্ট্রপতি Dec 14, 2025
img
প্রথম ডেটে সারারাত পিয়ানো বাজিয়েছিলেন বীর, নায়িকার মন্তব্য Dec 14, 2025
img
হাদির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্র : শেখ বাবলু Dec 14, 2025
img
হাদিকে গুলি করা দুর্বৃত্ত গোয়েন্দাদের নজরে! Dec 14, 2025
img
ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমের দুঃখ প্রকাশ Dec 14, 2025
img
চট্টগ্রামে সোমবার অনুষ্ঠিত হবে হৃদরোগ কনফারেন্স Dec 14, 2025
img
ঢাকা বিভাগের ইজতেমায় ক্রিকেটার মিরাজ Dec 14, 2025
img
অন্যের হাসিতেই জীবনের পরম সার্থকতা দেখেন গায়িকা Dec 14, 2025