৪০তম বিসিএস থেকে আর থাকছে না কোটা, ৩৮তমই সর্বশেষ

৪০তম বিসিএস থেকে আর থাকছে না কোটা পদ্ধতি। সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হবে। অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রকাশিত ৩৮তম বিসিএসই সর্বশেষ কোটা ছিল। এর মধ্য দিয়ে কোটা পদ্ধতির অবসান হয়েছে। এর মাধ্যমে দুই হাজার ২০৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে কোটা প্রথা বিলুপ্ত করে সরকার।

পিএসসি সূত্রমতে, এখন থেকে কোন বিসিএসে কোটা পদ্ধতি থাকছে না। এমনকি, কোটা পদ্ধতি বাতিলের প্রায় এক মাস আগে ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও কোটা পদ্ধতি থাকছে না। পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, কোটা বিলোপের মাসখানেক আগে ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি হয়। তবে আমরা বলেছিলাম সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবো। যেহেতু কোটা প্রথা বিলুপ্ত করেছে, সে কারণেপরবর্তী আর কোন বিসিএসে কোটা থাকছে না। ৪০তম বিসিএসেও থাকছে না। ৩৮তম বিসিএসকেই বলা যায় কোটার সর্বশেষ প্রয়োগ।

জানা গেছে, এতদিন ৫৫ শতাংশ কোটা এবং ৪৫ শতাংশ মেধা এমন নিয়মে ৩৮তম বিসিএসের ফলাফল দেওয়া হয়েছে। তবে কারিগরি ক্যাডারে কোটার প্রার্থী পাওয়া না গেলেও সাধারণ প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। তখন মেধাতালিকায় ২০ শতাংশ রেখে, ৪০ শতাংশ জেলা কোটা, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য এবং ১০ শতাংশ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য ছিল। পরবর্তীতে কয়েকবার কোটা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে ৫৫ শতাংশ করা হয়। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, নারীদের ১০ শতাংশ এবং ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর পাঁচ শতাংশ কোটা ছিল। পরে প্রতিবন্ধীদের জন্যও এক শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়।

এদিকে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু হয়। এপ্রিলে সেই আন্দোলন ব্যাপক হয়। দেশের সবকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন। সে সময় পুলিশ কোটা সংস্কার আন্দোলন কর্মীদের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে। তখন অনেকে আন্দোলনকর্মীদের পাশে দাঁড়ান। তীব্র আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করা হয়।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস Nov 01, 2025
img
পশ্চিমা প্রভাবেই আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে : রনি Nov 01, 2025
ব্ল্যাক ক্যাপসের আধিপত্য, ইংল্যান্ডের ব্যাটিং বিপর্যয় Nov 01, 2025
গুপ্ত রাজনীতি প্রসঙ্গে যা বললেন ছাত্রশিবির সভাপতি Nov 01, 2025
img
নভেম্বরের শেষভাগে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান : এম এ মালিক Nov 01, 2025
img
মুম্বাইয়ে রাজকীয় জন্মদিন উদযাপন শুরু শাহরুখের Nov 01, 2025
img
পেদ্রির চোটে বিস্মিত বার্সেলোনার কোচ Nov 01, 2025
img
রাজশাহীর পদ্মা নদীর তীরে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে Nov 01, 2025
img
২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ Nov 01, 2025
img
আবার ছোটপর্দায় ফিরছেন কাঞ্চন মল্লিক Nov 01, 2025
img
প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে : ইসি আনোয়ারুল Nov 01, 2025
img
হামজার লেস্টার সিটির টানা তিন ম্যাচে পরাজয় Nov 01, 2025
img
আইএসবিরোধী জোটে যোগ দিতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট Nov 01, 2025
জুলাই সনদ জনগণের প্রয়োজন নেই: মেজর হাফিজ Nov 01, 2025
শয়তানের প্রথম কাজ কী ছিল? | ইসলামিক প্রশ্নোত্তর Nov 01, 2025
মানসিক প্রশান্তি পাওয়ার আমল | ইসলামিক জ্ঞান Nov 01, 2025
img
প্রতিযোগিতা বাদ দেওয়ায় কাজের আনন্দ খুঁজে পেয়েছি : বিদ্যা বালান Nov 01, 2025
img
জান্নাতের টিকিট বিক্রি করবেন না, জান্নাত এত সস্তা নয়: মাসুদুজ্জামান মাসুদ Nov 01, 2025
img
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে মামলা ১৭০৯ Nov 01, 2025
img
গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে : রিজভী Nov 01, 2025