করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মপদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে। লকডাউনের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা বাংলাদেশ, বিশ্বজুড়ে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বা ঘরে থেকে কাজ করার জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এমনকি অনেক বিশ্ব বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আজীবন এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতি চালিয়ে যাবার কথা ভাবছে, আবার অনেক প্রতিষ্ঠান ২০২১ সালে অফিসে ফিরে না যাবার কথা বিবেচনা করছে।
গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে টুইটার ঘোষণা করেছে যে, তাদের কিছু কর্মচারী স্থায়ীভাবে বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন। গত সপ্তাহে, গুগল ঘোষণা করেছে তাদের কর্মীরা ২০২১ সাল পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ পাবে।
এ বিষয়ে গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই কর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেন, “আমি আশা করি এর ফলে আগামী ১২ মাস আপনারা কাজের পাশাপাশি নিজের এবং প্রিয়জনদের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখার সুযোগ পাবেন।”
আইএমএফের মতে, স্কুল ও ডে কেয়ার সেন্টার বন্ধ হয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে মহামারীতে কর্মজীবী নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং কিছু সংস্থা সেটা স্বীকৃতি দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ফলে গৃহীত অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে বিশ্বজুড়ে অনেক কোম্পানিই ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিটি ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাবে। এর মধ্য দিয়ে গোটা পৃথিবীতেই অফিস ব্যবস্থায় স্থায়ী পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সমাজ বিশেষজ্ঞগণ।
২০২১ সাল পর্যন্ত অফিসে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সব বিশ্ব বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান-
স্থায়ী ভাবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতে আংশিক বা সম্পূর্ণ অফিস পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সব প্রতিষ্ঠান:
তথ্যসূত্র: সিএনএন
টাইমস/এনজে/টিএইচ