দীর্ঘদিন বাঁচতে চাইলে যা করবেন

জীবন সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকতে সহায়তা করে। এটি আমাদেরকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে। সম্প্রতি নতুন একটি গবেষণায় এমন তথ্য ওঠে এসেছে। ২,৩০,০০ নারী-পুরুষের ওপর চালানো ১৫টি সমন্বিত গবেষণালব্ধ জ্ঞান থেকে গবেষকরা এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।

গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক হলেন নিউ ইয়র্কের সেন্ট লুক হাসপাতালের কার্ডিওলোজির অধ্যাপক ড: অ্যালান রোজানস্কি। তিনি বলেন, “নেতিবাচক লোকদের তুলনায় ইতিবাচক লোকদের জটিল হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ৩৫% কম।”

বেশ কয়েকটি গবেষণায়- কীভাবে ইতিবাচকতা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে সে বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছিল এবং বেশ কয়েকটিতে দেখা হয়েছে যে, কীভাবে ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে।

এসব অনুসন্ধানে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীর আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়েছিল। এদের মধ্যে এক দল ভবিষ্যতে যাই আসুক না কেন তা নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিল। অন্য দলটি ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ছিল। সময়ের সঙ্গে দেখা গেল যাদের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক, তাদের হৃদযন্ত্রও স্বাস্থ্যকর রয়েছে। আর যাদের চিন্তা-ভাবনা নেতিবাচক তারা নানা হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছেন।

গবেষণায় আরও জানা গেছে, ইতিবাচক ভাবনার লোকেরা সমস্যা সমাধানে পারদর্শী, মানিয়ে নেয়ায় দক্ষ এবং লক্ষ্য নির্ধারণে অভিজ্ঞ। এসব গুণাবলির অধিকারী লোকেরা তাদের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণে অনেক বেশি সচেতন বলে গবেষকরা মনে করেন।

ড: রোজানস্কি এ বিষয়ে বলেন, “সংগতিপূর্ণ গবেষণায় দেখা গেছে, ইতিবাচক লোকদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অভ্যাসগুলিও ইতিবাচক। তারা সাধারণত স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খায় আর নিয়মিত শরীরচর্চা করে।”

খুব স্বাভাবিকভাবেই ইতিবাচকতা আমাদেরকে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী করে তোলে এবং এর ফলে আমরা আরও সুন্দরভাবে বাঁচার চেষ্টা চালিয়ে যাই। অন্যদিকে নেতিবাচকতা আমাদেরকে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিরাশ করে, ফলে আমরা সুন্দর ও সুস্থ জীবনযাপনের প্রয়োজনে পদক্ষেপ গ্রহণের আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি.কম

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার বার্তা জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের Dec 01, 2025
img
দুলকার সালমানের নতুন লুক প্রকাশ, ভক্তদের উচ্ছ্বাস Dec 01, 2025
img

সাদ্দাম হত্যাকাণ্ড

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা দিলীপ গ্রেপ্তার Dec 01, 2025
img
সাতসকালে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস, তালিকায় ৪র্থ অবস্থান Dec 01, 2025
img

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি

হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের রায় আজ Dec 01, 2025
img
দেশের বাজারে কত দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ? Dec 01, 2025
img
আজকের আবহাওয়া : ঢাকায় আকাশ মেঘলা থাকতে পারে Dec 01, 2025
img
০১ ডিসেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা Dec 01, 2025
img
নারীর এগিয়ে চলায় নতুন বার্তা দিলেন রচনা ব্যানার্জি Dec 01, 2025
img
কিংবদন্তি ক্রিকেটার ধোনির ফিটনেস রহস্য! Dec 01, 2025
img
শীতে ফুসফুস ভালো রাখবে ৮ ধরনের ফল ও সবজি Dec 01, 2025
img
বিয়ে মানে দায়িত্ব,নতুন বার্তায় অপরাজিতা আঢ্য Dec 01, 2025
img
প্রথম সারির নায়িকারাও আমার থেকে কম টাকা কামায়: সোফী Dec 01, 2025
মাইনাস-টু প্রজেক্টে তৎপর ডিপ স্টেট- দাবি মাসুদ কামালের Dec 01, 2025
বেগম জিয়ার স্মরণে—সাবেক বিএনপি নেতার আবেগঘন বার্তা Dec 01, 2025
দুর্নীতি মামলার আগেই রাষ্ট্রপতির ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু Dec 01, 2025
প্লেয়ার ড্রাফটে হতাশ নোয়াখালীবাসী, তবু ‘নোয়াখালী এক্সপ্রেস’-এ প্রত্যাশা অটুট Dec 01, 2025
দুর্নীতির অভিযোগে ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ Dec 01, 2025
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে ফার্সিকাল ইলেকশন হবে: জিল্লুর রহমান Dec 01, 2025
শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Dec 01, 2025