হৃদরোগে আক্রান্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে শরীরচর্চা উপকারী

বর্তমান সময়ে হৃদরোগ একটি মারাত্মক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর ৬,১০,০০০ জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন, আর হার্ট অ্যাটাক হয় ৭,৩৫,০০০ লোকের।

যাদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি, তরুণদের তুলনায় তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি। কারণ, হৃদপিণ্ড বয়সের সঙ্গে বদলে যেতে থাকে। হৃদরোগ বয়স্কদের অক্ষমতার অন্যতম একটি কারণ।

নতুন একটি গবেষণা নিশ্চিত করেছে যে, শরীরচর্চা বয়স ভেদে সবার দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বাস্তবতা হলো, বয়স্ক লোকেরা শরীরচর্চা থেকে বেশি উপকার লাভ করতে পারেন।

কানাডা জার্নাল অব কার্ডিওলোজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, বয়স্ক ব্যক্তিরা পুনর্বাসন থেকে দৈহিক ও মানসিক উপকার পেয়ে থাকেন। তবুও তাদের কথা খুব বেশি উপস্থাপিত হয় না। এ কারণেই হয়তো ডাক্তাররা বয়স্ক লোকদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর বদলে শরীরচর্চা করতে বলেন।

শরীরচর্চা হৃদপিণ্ডের চলাচল ধীর করে, ব্লাড প্রেশার কমায়, মানসিক চাপ প্রশমিত করে, অক্সিজেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

নিরীক্ষণের স্বার্থে প্রবীণদের বয়স অনুসরণ করে মোট তিনটি গ্রুপে ভাগ করে করা হয়েছে। ৬৫ বছরের কম যাদের বয়স তাদেরকে একটি দলে, ৬৫ থেকে ৭৯ বছর বয়সীদের একটি আলাদা দলে এবং ৮০ বা তার থেকে বেশি বয়স যাদের তাদেরকে আলাদা একটি দলে রাখা হয়েছিল।

গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই সব অংশগ্রহণকারীর উন্নতি ঘটেছে- শুধু শারীরিক সক্ষমতার নয় বরং মানসিক সক্ষমতারও উন্নতি ঘটেছে। এছাড়া ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে শরীরচর্চা উপকারী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

এ বিষয়ে নিরীক্ষক গ্যাইল ডিলে (প্রিএইচডি), জানান, “এই উন্নতি অবশ্যই রোগীর স্বাধীনতা এবং জীবনের গুণগতমানকে প্রভাবিত করবে।” তথ্যসূত্র: হেলথলাইন.কম

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

পাক-আফগান উত্তেজনা নিরসনে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে তুরস্ক Nov 23, 2025
শিবিরের নবীন বরণে রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস Nov 23, 2025
'অনেক সংস্কার হয় কিন্তু শিল্পীদের রেমুনারেশন বাড়েনা' Nov 23, 2025
নিছক করিডোর নয়, বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় ভূমিকায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Nov 23, 2025
কুমিল্লায় বিএনপির দোয়া মাহফিলে আব্বাসীর আগমন, উচ্ছ্বাসিত জনতা Nov 23, 2025
img
টাকা পাচারকারীদের বাংলার জমিন থেকে উৎখাত করতে হবে: চরমোনাই পীর Nov 23, 2025
জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী করণীয় অনুষ্ঠানে যা বললেন মনির খান Nov 23, 2025
ঢাকায় ফের ভূমিকম্প, ২৪ ঘন্টায় হলো তিনবার Nov 23, 2025
img
দেশের ৪০ শতাংশ মাছের চাহিদা পূরণ করছে রাজশাহী: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Nov 23, 2025
img
রিকশাচালক সংসদে গেলে সংসদ শূন্য হয়ে যাবে না: সারজিস Nov 23, 2025
img
চার বছর আগেও স্কিনকেয়ার জানতেন না কীর্তি Nov 23, 2025
img
বিয়ের তোড়জোড়ের মাঝেই ব্যায়ামে নতুন কায়দা Nov 23, 2025
img
যারা টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চায় দেশে তাদের ঠাঁই হবে না: সাদিক কায়েম Nov 23, 2025
img
দর্শকের রুচিতে পাল্টে গেল পর্দার নায়কের ধরন Nov 23, 2025
img
জামায়াতের মোটরসাইকেল শোডাউনে প্রাণ গেল পথচারীর Nov 23, 2025
img
তেলেগু অভিষেকে উপেক্ষিত, ভাগ্যশ্রীকে ঘিরে নতুন আলোচনা Nov 23, 2025
img
ভিসির বাসভবনের সামনে ঢাবি শিক্ষার্থীদের রাতভর অবস্থান Nov 23, 2025
img
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু Nov 23, 2025
img
হল ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে ইডেন শিক্ষার্থীরা Nov 23, 2025
img
যার বংশ পরিচয় নেই, বাপ-দাদার নাম নেই, সেও নাকি এমপি হবে : মঞ্জুরুল আহসান Nov 23, 2025