ময়মনসিংহে কলেজছাত্র শাওন হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে অভিযুক্ত প্রধান আসামি মাহিন। শাওন হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে। এর আগে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় মাহিন।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন জানান, গত ৮ অক্টোবর রাতে নগরীর গোলপুকুরপাড় এলাকায় প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতির প্রাক্কালে তিনটি গ্রুপের আনন্দ-উল্লাস করার সময় মাহিন গ্রুপের সঙ্গে আবির গ্রুপের ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় মাহিন তার প্যান্টের পকেট থেকে সুইচ গিয়ার চাকু বের করে আঘাত করায় প্রথমে আবির আহত হয়। একপর্যায়ে শাওনের বুকে আঘাত করে মাহিন। গুরুতর জখম অবস্থায় শাওনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং কোতোয়ালি থানা ও ডিবি পুলিশকে আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এজাহারভুক্ত নয় আসামির মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার এবং আলামত উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তার সাতজন হলেন- নগরীর আর কে মিশন রোডের গজিয়াবাড়ি মাঠের সেম্মত আলীর ছেলে মাহফুজুল ইসলাম মাহিন (১৮), নওমহলের আশীষ চন্দ্র দে-র ছেলে আকাশ চন্দ্র দে (১৫), আর কে মিশন রোডের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে সারোয়ার উদ্দিন হৃদয় (১৮), বাঘমারা এলাকার আসলামের ছেলে ফারদিন (১৯), হারুন অর রশিদের ছেলে সাজ্জাদ (১৯), চরপাড়ার হোসেনের ছেলে মুন্না (১৯) ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মরিচারচরের সিদ্দিকুলের ছেলে রাকিব (১৯)।
এ ঘটনায় মাহফুজুল ইসলাম মাহিন আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। একই ঘটনা ইসলাম উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, তার কাছ থেকে মাহিন ঘটনার এক দিন আগে সুইচ গিয়ার চাকুটি কেনে।
টাইমস/এইচইউ