চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহ আলম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ডাকাত সর্দার নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালু (২৬) নিহত হয়েছেন।
বুধবার ভোররাতে উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার তারেক আজিজ জানিয়েছেন।
নিহত নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালু সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ডের নতুন পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে।
শাহ আলম হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার এক আসামি ওই ঘটনার ‘হোতা’ হিসেবে কালুর নাম বলেছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।
তারেক আজিজ জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডা. শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নজির আহমেদকে গ্রেপ্তারের জন্য ওই এলাকায় অভিযানে যায় র্যাবের একটি দল। উপস্থিতি টের পেয়ে নজির আহমেদ তার দলবল নিয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে নজির আহমেদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ দুটি অস্ত্র ও ২৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার সকালে সীতাকুণ্ডের কুমিরায় বাইপাস এলাকা থেকে চিকিৎসক শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন শনিবার রাতে নিহত চিকিৎসকের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় বন্দর নগরীর রেলস্টেশন এলাকা থেকে লেগুনাচালক মো. ফারুককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
টাইমস/এইচইউ