রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন- মহানগরীর আসাম কলোনী এলাকার মেহদী হাসান আশিক (২২), মেহদী হাসান হিরা (২৩), মহানগরীর সাধুর মোড় এলাকার নবীউল উৎস (২০) ও ছোটবনগ্রাম এলাকার নজরুল ইসলাম (২৩)। তারা সবাই রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী।
এর আগে এ ঘটনায় আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার রাতে পলিটেকনিক ছাত্রাবাস থেকে আটক ২৫ জনের মধ্যে থেকে তাদের শনাক্ত করে পুলিশ। এরা হলেন- পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাফি শাহরিয়ার (২৩), সোহেল রানা (২২), বাঁধন রায় (২০), আরিফুল ইসলাম (২৩) ও মেহদী হাসান রাব্বি (২১)।
গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, মূল আসামিসহ মামলায় নাম উল্লেখ করা ৮ আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিগগিরিই তারা ধরা পড়বে।
এদিকে অভিযুক্ত সৌরভসহ আট সহযোগীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার সকালে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ক্লাস বর্জন করে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে এ বিক্ষোভ করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
গত শনিবার দুপুরে ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে টেনেহিঁচড়ে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এর প্রতিক্রিয়ায় ওই ঘটনার মূল হোতা সৌরভকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। একইসঙ্গে পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
টাইমস/এইচইউ