ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অফিসের এ ঘোষণার পর বন্দর জেটিতে অবস্থান করা সব জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দর জেটি জাহাজশূন্য করা হয়েছে। একইসঙ্গে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে বন্দরের মূল জেটির জাহাজগুলো একে একে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্ক সংকেতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বন্দর চ্যানেল নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
বন্দর সচিব বলেন, ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা করার পরই আমরা জেটিতে থাকা জাহাজগুলোকে বহির্নোঙরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেই। শনিবার সকালে বন্দরের মূল জেটিতে থাকা জাহাজাগুলো একে একে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন একটি জাহাজও জেটিতে নেই। ছোট লাইটারেজ জাহাজগুলোকে শাহ আমানত সেতুর ওপারে উজানে (আপস্ট্রিমে) পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বহির্নোঙরে (সাগরে) অবস্থানরত বড় জাহাজগুলো ক্রমান্বয়ে কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার উপকূলে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব বড় জাহাজের ইঞ্জিন সার্বক্ষণিক চালু রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বন্দরের সব কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অন্যান্য হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট প্যাকিং করা হচ্ছে। ঝড়ো হাওয়ায় যাতে কনটেইনার পড়ে পণ্যের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে লক্ষ্যে একটির ওপর কয়েকটি রাখা কনটেইনার নামিয়ে রাখা হচ্ছে। বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘সাইক্লোন ডিজেস্টার প্রিপার্ডনেস অ্যান্ড পোর্ট সাইক্লোন রিহ্যাবিলেটেশন প্ল্যান ১৯৯২ অনুযায়ী বন্দর চেয়ারম্যান নিজস্ব অ্যালার্ট জারি করেছেন। বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি জাহাজ, মূল জেটি ও টার্মিনালের কার্গো, কনটেইনার, হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট রক্ষায় বন্দর কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট রয়েছে।
টাইমস/এইচইউ