ঢাকার ধামরাইয়ে এবার চলন্ত বাসে এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালক ফিরোজ ওরফে সোহেলকে আটক করেছে পুলিশ। আটক সোহলের বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা থানায়। তিনি ধামরাইর বড় জেঠাইল এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করেন।
জানা যায়, নিহত নারী শ্রমিক ধামরাইয়ের ডাউটিয়া এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তিনি ধামরাই কুশুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। কারখানায় প্রতিদিন ভোর ৬ টায় কাজে যোগ দিতে হয় ওই নারী শ্রমিককে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে কর্মস্থলের উদ্দেশে শ্রমিকবাহী একটি বাসে ওঠেন ওই নারী। পরে বাসটি ডাউটিয়া না নিয়ে হিজলীখোলা এলাকায় নিয়ে যায় ড্রাইভার। সেখানে চলন্ত বাসে তাকে ধর্ষণ করে বাসচালক সোহেল। পরে তাকে হত্যা করে রাস্তার পাশে নির্জন স্থানে লাশ ফেলে যান তিনি।
রাতে ওই শ্রমিক বাড়ি না ফিরলে তার মা ধামরাই থানায় জিডি করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাসচালক সোহেলকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার ভোরে লাশ উদ্ধার করা হয়।
ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, আটক বাসচালকের মুখে, হাতে ও গলায় মেয়েটির নখের আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
টাইমস/এসএন/এইচইউ