বরিশাশে স্কুলের দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে জগদীশ সারস্বত বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আলমকে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিদ্যালয়ের এক কর্মচারী জানান, নতুন ক্লাশ রুটিন অনুমোদন না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের তর্ক হয়। এক পর্যায়ে দুই সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষককে ধাক্কা দেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
প্রধান শিক্ষক শাহ আলমের অভিযোগ, কতিপয় শিক্ষক সুবিধামত সময় অনুযায়ী পাঠদানের জন্য নিজেদের খেয়ালখুশি মত ক্লাশ রুটিন তৈরি করেছেন। ওই রুটিন অনুমোদন দেওয়ার জন্য সহকারী শিক্ষক কাওছার হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন আমাকে চাপ প্রয়োগ করেন। যাচাই বাছাই ছাড়া আমি স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই দুই শিক্ষক আমাকে মারধর করেন।
তিনি আরও বলেন, সহকারী শিক্ষকরা কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। ২০১৭ সালে বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই তিনি কোচিং বাণিজ্যের বিরোধিতা করে আসছেন। এ কারণে এর আগেও তিনি হামলার শিকার হয়েছেন।
বিষয়টি লিখিতভাবে থানা, জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে বলেও জানান প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগের বিষয়ে সহকারী শিক্ষক কাওছার হোসেন বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে প্রধান শিক্ষক গেল দুই বছর ধরে ক্লাশ রুটিন দিচ্ছেন না। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বেগ পেতে হচ্ছে। তাই প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্লাশ রুটিনের দাবি তোলেন অন্যান্য শিক্ষকরা। এর প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক নিজেই রুটিন তৈরির জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। গেল বৃহস্পতিবার তার কাছে একটি রুটিন জমা দেয় কমিটি। রোববার রুটিন অনুমোদন দেওয়ার কথা ছিল প্রধান শিক্ষকের। কিন্তু তিনি এবারও টালবাহানা শুরু করেন। শিক্ষকরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাত্র।
আরেক সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনও দাবি করেন, কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
টাইমস/এইচইউ