কক্সবাজারের টেকনাফে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলার ডুবে অন্তত ১৫ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। সাগর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর ৭৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে সেন্ট মার্টিন থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা দালাল ধরে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
কোস্টগার্ডের মুখপাত্র সহকারী পরিচালক লে. কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন রোহিঙ্গা নারী। বাকি তিনটি লাশ শিশুদের। যে ৭৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ, ৪৬ জন নারী ও তিনটি শিশু।
সেন্ট মার্টিন কোস্টগার্ডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট নাইম উল হক বলেন, সোমবার রাতে টেকনাফ উপকূল দিয়ে দুটি ট্রলার মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে সাগরের পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি ট্রলার ডুবে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৭০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কোস্ট গার্ড সদস্যদের পাশাপাশি নৌবাহিনীর একটি জাহাজ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।
তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, দালালদের মাধ্যমে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির থেকে বের হয়ে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন। নিহতদের মধ্যে চারজন শিশু, বাকিরা নারী। ওই ট্রলারে প্রায় ১০০ জন ছিল বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে, তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলেও জানান তিনি।
কোস্টগার্ডের তিনটি দল, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), সেন্ট মার্টিন বোট মালিক সমিতিসহ (বিজিবি) বিভিন্ন সংস্থা উদ্ধারকাজে যুক্ত আছে।
টাইমস/এইচইউ