ডাক্তারের বিরুদ্ধে ভিডিও ধারণ করে রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তিন বছর ধরে এক রোগীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন এক চিকিৎসক। ধর্ষণের শিকার ওই রোগী এখন অন্তঃসত্ত্বা। অভিযুক্ত ডা. আমিনুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার। এছাড়া ওই ডাক্তার জেনারেল কলোরেস্টাল, ল্যাপারোস্কপিক ও প্লাস্টিক সার্জন এবং বার্ন বিশেষজ্ঞ।

জানা গেছে, এ বিষয়ে ভিকটিম রোগী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার না পেয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআই’কে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই নারী থাইরয়েড সমস্যা নিয়ে ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই ডা. আমিনুল ইসলামের খানপুরের চেম্বারে যান। ওই বছরই ২০ আগস্ট ডা. আমিনুলের কাছে গেলে তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষার কথা বলে চেম্বারের বেডে ওই রোগীকে শুইয়ে চেতনানাশক ইনজেকশন দেন। এসময় রোগী অচেতন হয়ে গেলে ডা. আমিনুল তাকে ধর্ষণ করে।

পরে ওই নারীর চেতনা ফিরলে তিনি চিৎকার করলে ডাক্তার ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেন। এরপর প্রতি সপ্তাহে ডা. আমিনুল তার চেম্বারে ওই নারীকে আসতে বলেন। এই ঘটনার পর ওই নারীকে ফোন দিয়ে ভয় দেখাতে থাকে।

এরপর ডা. আমিনুল তার পিয়নকে পাঠিয়ে ওই নারীর স্বামীর কাছে খবর দেয় যে, তার স্ত্রীর কিছু রিপোর্ট করতে হবে। পরে স্বামীর জোরাজুরিতে বোনকে সঙ্গে নিয়ে ডা. আমিনুলের চেম্বারে যান ওই নারী। এসময় ডা. আমিনুল তাকে আবারও ধর্ষণ করে। এতে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে ওই নারীর স্বামী এ ঘটনা বুঝতে পেরে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে ডা. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: