স্বপ্নের পদ্মাসেতু দিনদিন আরও স্পষ্ট হয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে। প্রতিদিনই বদলে যাচ্ছে সেতুর চেহারা। সর্বশেষ শুক্রবার পদ্মাসেতুর ২৫তম স্প্যান স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে মুল সেতুর প্রায় ৩ হাজার ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। শুক্রবার শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ২৯-৩০ খুঁটির ওপর এই স্প্যান বসানো হয়।
পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, শুক্রবার সকাল ১০টায় মাওয়ার কুমারভোগ কন্সট্রাকশন এরিয়া থেকে ভাসমান জাহাজ স্প্যানটি নিয়ে জাজিরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। প্রায় দেড় ঘন্টা পর স্প্যানবাহী জাহাজ জাজিরা প্রান্তে পৌছে স্প্যানটি বসানোর কাজ শুরু করে। দুপুর ৩টার পরে স্প্যান বসানো শেষ হয়।
এই প্রকৌশলী আরও জানান, নদীর তলদেশের অবস্থা অনূকুলে থাকায় এখন প্রতি মাসে তিনটি করে স্প্যান বসানো সম্ভব হবে। কাজেই সেতুর পুরো ৪১টি স্প্যান আগামী জুলাইয়ের মধ্যে বসানো যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পের একটি সূত্র জানিয়েছে, সেতুর সর্বমোট ৪২টি খুঁটির মধ্যে এরই মধ্যে ৩৮টি খুঁটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি চারটি খুঁটির নির্মাণ কাজ দ্রুতই এগিয়ে চলছে। মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১০ নম্বর খুঁটির কাজ চলতি মাসেই শেষ হবে।
এছাড়া ১১ নম্বর খুঁটির কাজ মার্চের প্রথম সপ্তাহে এবং জাজিরা প্রান্তের ২৭ নম্বর খুঁটির কাজ মার্চ মাসের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে।
এদিকে খুঁটিতে বসানো স্প্যানের নিচে বসানো রেলওয়ে স্ল্যাবের বসানোর কাজও শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। মোট তিন হাজার স্ল্যাবের মধ্যে এরই মধ্যে ৫৭৬টি স্ল্যাবের বসানো হয়েছে। এছাড়া স্প্যানের ওপরে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে ২৮৯টি।
পদ্মাসেতু সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীন থেকে আসা বাকী দুইটি স্প্যান এখন সমুদ্রপথে রয়েছে। এই দু’টি স্প্যান শিগগিরই মাওয়ায় এসে পৌঁছবে।
জানা গেছে, মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন এবং নদীশাসনের কাজ করছে চীনের সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন। এছাড়া পদ্মাসেতুর দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করছে বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড।
টাইমস/এসএন