বাড়িভাড়া কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশ চেয়ে আবেদন

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখলেও শেষমেষ কি অবস্থা দাড়ায় তা বলা কঠিন। এছাড়া সরকার বিভিন্ন খাতের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। এসবের প্রেক্ষিতে করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই রাজধানীর ভাড়া বাসায় বসবাসকারীরা বাড়িভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছে আসছিলেন।

এরই অংশ হিসেবে এবার বাড়িভাড়া ৬০ শতাংশ মওকুফ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশ প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। রোববার প্রধানমন্ত্রী বরাবর এক আবেদনে আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী জুনু এ দাবি করেন।

আবেদনে এ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, সারাদেশ সরকার ঘোষিত ছুটি ও অঘোষিত লকডাউন কার্যকর থাকায় মানবিক দিক বিবেচনায় আপনার (প্রধানমন্ত্রী) নির্বাহী আদেশে প্রতিমাসের বাসাভাড়া ৬০ শতাংশ মওকুফ করার দাবি জানাচ্ছি।

ওই আবেদনে আরও বলা হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বাংলাদেশের প্রধান অভিভাবক। দেশের মানুষ আজ মারাত্মক সংকটে। আপনি জানেন, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ছুটি থাকার কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেনির মানুষ বাড়ি ভাড়া মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাড়িভাড়ার জন্য সমাজের অনেক ভদ্র পেশাজীবীরা এখন বাড়িওয়ালা কর্তৃক অপদস্থ হচ্ছেন। গণমাধ্যমে খবর এসেছে, এরই মধ্যে কুষ্টিয়ায় বাড়িভাড়া না দেয়ায় এক নারীর গায়ে আগুন দিয়েছে বাড়িওয়ালার ছেলে।

আইনজীবী জুলফিকার আলী তার আবেদনে আরও বলেন, বাড়ি ভাড়ার জন্য অনেক বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের রাস্তায় বের করে দিচ্ছেন। আমরা জানি না, এই মহামারীর দুর্যোগ কবে শেষ হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা মধ্যবিত্ত পেশাজীবীরা নিজেদের অভাবের কথা লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে বলতেও পারি না, আবার কষ্টও সহ্য করতে পারি না।

অতএব দেশের প্রধান অভিভাবক হিসেবে আপনার নিকট আমাদের আবেদন, মানবিক দিক বিবেচনায় সাধারণ পেশাজীবীদের এপ্রিল মাস থেকে বাসাভাড়ার ৬০ শতাংশ মওকুফ করার জন্য আপনার নির্বাহী আদেশ প্রার্থনা করছি।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ক্যারিবীয়দের অনায়াসে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল কিইউরা Dec 12, 2025
img
জাপানে আঘাত হানল ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা Dec 12, 2025
img
তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 12, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, তালিকায় ঢাকার অবস্থান দশম Dec 12, 2025
img
মাগুরায় অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৯৪ বস্তা সার জব্দ Dec 12, 2025
img
রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 12, 2025
img
নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে সদস্যদের প্রতি বিমানবাহিনী প্রধানের আহ্বান Dec 12, 2025
img
রাজধানীতে সিটি কর্পোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থীর Dec 12, 2025
img
নির্বাচন যত সহজ ভাবা হচ্ছে তত সহজ হবে না: তারেক রহমান Dec 12, 2025
img
সীমান্তে সংঘাতের মধ্যেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিল থাইল্যান্ড Dec 12, 2025
img
স্থায়িত্ব বজায় রাখাই বড় কাজ: প্রধান বিচারপতি Dec 12, 2025
img
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে : সেনাপ্রধান Dec 12, 2025
img
বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত Dec 12, 2025
img
ভোটগ্রহণে পর্যাপ্ত কর্মকর্তা না পাওয়া গেলে বেসরকারি ব্যাংক থেকে নিয়োগ Dec 12, 2025
img
দলমত নির্বিশেষে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করি : আব্দুল্লাহ Dec 12, 2025
img
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য-মালদ্বীপ ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে বৈঠক Dec 12, 2025
img
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ১৬০৬ কোটি টাকা Dec 12, 2025
img
জাদুঘর থেকে ব্রিটিশ আমলের ৬০০ এর বেশি নিদর্শন চুরি Dec 12, 2025
img
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত ৬ জাহাজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা Dec 12, 2025
img
কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস আজ Dec 12, 2025