মা-মেয়েসহ ৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিল আম্পান

তীব্র বাতাস, ভারী বৃষ্টিপাত ও উঁচু জলোচ্ছ্বাস নিয়ে উপকূলজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। সাতক্ষীরা থেকে পটুয়াখালী উপকূল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি। বুধবার রাত নয়টায় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার গতিবেগে সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত করে। এ সময় ১২ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ছিল।

সুন্দরবন দিয়ে অতিক্রম করার কারণে আম্পানের তাণ্ডব কিছুটা কম হয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত সুপার সাইক্লোন আম্ফানের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে যশোরে চৌগাছায় গাছ চাপা পড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকায় ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে রাসেদ (৬) নামে এক শিশু এবং কলাপাড়ায় মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে ধানখালীর ছৈলাবুনিয়া এলাকায় খালে নৌকা ডুবে শাহ আলম নামে এক স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যু হয়েছে। শাহ আলম ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপির) টিম লিডার ছিলেন।

ভোলায় ঝড়ো হাওয়ায় গাছ পড়ে মো. ছিদ্দিক ফকির (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চর কচ্ছপিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া ঝড়ের কবলে পড়ে ১১ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রফিকুল ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসাননগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাসাননগর গ্রামের আবু কালামের ছেলে।

সাতক্ষীরা শহরের সংগীতা মোড় এলাকায় আম কুড়াতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মধ্য বয়সী ওই নারী শহরের কামালনগর এলাকার বাসিন্দা। দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে আম্ফান আসার আগেই জোয়ারের পানিতে ডুবে মো. সালাউদ্দিন (১৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে দেয়াল চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ