করোনা উপসর্গে নোয়াখালীতে দুজনের মৃত্যু

জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে নোয়াখালীর সদর ও হাতিয়া উপজেলায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল সাতটার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে একজন এবং মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফটকে অন্যজনের মৃত্যু হয়। পরে মৃত ব্যক্তিদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

মারা যাওয়া দুইজন হলেন- জেলা শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুরের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন (৬৫) এবং হাতিয়ার রকিং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পবন চন্দ্র দাস (৫০)।

নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ফোকাল পারসন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুরের বাসিন্দা আলমগীর হোসেনকে অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় তাকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল সাতটার দিকে তিনি মারা যান। মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলাফল আসার পর জানা যাবে, তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না।

অপরদিকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ফোকাল পারসন ও চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন মিজান বলেন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত পবন চন্দ্র দাসকে হাসপাতালের ফটকে নিয়ে আসেন তার স্ত্রী ও ছোট এক ছেলে। তাৎক্ষণিক তিনিসহ মেডিকেল টিমের সদস্যরা এগিয়ে যান। তিনি রোগীর অবস্থা দেখে ফটকের সামনেই তাকে শুইয়ে হৃদ্‌যন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দেওয়া শুরু করেন। কিছুক্ষণ সিপিআর দেওয়ার পর দেখেন, রোগীর পালস নেই। চোখ স্থির হয়ে আছে। তখন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেলে জানা যাবে, তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন Oct 30, 2025
img
আগামী এপ্রিলে চীন যাব, এরপর শি যুক্তরাষ্ট্রে আসবেন: ট্রাম্প Oct 30, 2025
img
ইউনেস্কোর সভাপতির দায়িত্ব পালন শুরু করল বাংলাদেশ Oct 30, 2025
img
তোমার স্বামী খুব কঠোর, কেভিন পিটারসেনের স্ত্রীকে বললেন লোকেশ রাহুল Oct 30, 2025
img
‘শাপলা কলি’ নয়, ‘শাপলা’ই চায় এনসিপি Oct 30, 2025
img
১৬ নভেম্বর পোস্টাল ব্যালটে ভোটের অ্যাপ উদ্বোধন : ইসি সচিব Oct 30, 2025
img

জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা

বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময় Oct 30, 2025
img
সন্তানকে মত প্রকাশের সুযোগ দিন : হাসনাত আব্দুল্লাহ Oct 30, 2025
img
মোজাম্মেল হকের আয়কর নথি জব্দের অনুমতি পেয়েছে দুদক। Oct 30, 2025
img
ডাকসু নেতাদের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Oct 30, 2025
img
ঐক্য কমিশনের প্রতিবেদনে অনৈক্যের সুর : শামা ওবায়েদ Oct 30, 2025
img
বিশ্ববাজারে ফের বেড়েছে সোনার দাম Oct 30, 2025
img
কাবুলের সার্বভৌমত্ব-অখণ্ডতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত Oct 30, 2025
img
ফুটবলার নিবন্ধনে ফিফার নিষেধাজ্ঞা পেল মোহামেডান Oct 30, 2025
img
যারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন চায় না, তারা জনগণের বিরোধী শক্তি : এম এ মালিক Oct 30, 2025
img

নারী বিশ্বকাপ ২০২৫

ভারতের সাবেক ও বর্তমান অধিনায়কের রেকর্ড ভাঙলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার Oct 30, 2025
img
চসিক সিইও অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ, ১৫ দিনের আলটিমেটাম Oct 30, 2025
img
যারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়, তারা গণভোট চায় না : মাসুদ Oct 30, 2025
img
সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়াতে হবে : এ্যানি Oct 30, 2025
img
ঐকমত্যে ব‍্যর্থ হলে ভয়ানক পরিস্থিতির ঝুঁকি দেখছে এবি পার্টি Oct 30, 2025