জোর করে নারীর বিবস্ত্র ছবি তুলে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে ঝিনাইদহে চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একাধিক আপত্তিকর ভিডিও ফুটেজ জব্দ করা হয়।
জানা যায়, ১৮ জুন সন্ধ্যার দিকে ভিকটিমের স্বামী তার কাজের সহকারী এক কিশোরকে দিয়ে বাসায় বাজার পাঠান। ওই সহকারী বাসায় গিয়ে দরজা নক করলে ভিকটিম নারী দরজা খুলে দেন। তখন ওই সহকারীর পেছন পেছন এলাকার বখাটে ও মাদকসেবী সানি মুন্সি, শাওন, মারুফ বিল্লাহ ও সোহান গোপনে ওই বাসায় প্রবেশ করে।
এ সময় বখাটেরা ভিকটিম নারীর মেয়েকে পাশের রুমে আটকে রেখে ভিকটিম নারী ও বাজার নিয়ে আসা দোকানের কর্মচারী কিশোর বয়সী ছেলেকে নানা ভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। এরপর ওই বখাটেরা কিশোরের পোশাক খুলে ভিকটিমের পাশে বসিয়ে ছবি তোলেন। এরপর আরও ‘আপত্তিকর কাজ’ করতে বললে তাতে রাজি না হওয়ায় ওই কিশোরকে মারধর করেন তারা।
পরবর্তীতে ওই যুবকেরা ভিকটিমকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হয়ে জোর করে ভিকটিমকে বিবস্ত্র করে তার ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। পরে এসব কথা কাউকে না জানাতে শাসিয়ে যান বখাটেরা। সেই সঙ্গে এসব কথা কাউকে জানালে ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকিও দেয় তারা।
এব্যাপারে ভিকটিম ও তার স্বামী জানান, তারা ওই এলাকায় বাসা ভাড়া থাকেন। তাই সম্মানের ভয়ে শুরুতে বিষয়টি কাউকে জানানো থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু ঘটনার পর ওই যুবকেরা ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি শুরু করলে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানান।
অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই চার বখাটের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
টাইমস/এসএন