আটকের পর মুচলেকায় মুক্তি, ওসিকে ফোন করে যুবকের আত্মহত্যা

আটক হওয়ার পর মুচলেকায় মুক্তি পেয়ে ওসিকে ফোন করে আত্মহত্যা করেছেন পাপন সাহা নামের এক যুবক। বৈদ্যুতিক তার গায়ে জড়িয়ে ওই যুবক আত্মহত্যা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌর শহর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ২ নম্বর গেটসংলগ্ন এলাকার মৃত অশোক কুমার সাহার ছেলে পাপন সাহা গোয়ালন্দ বাজার রেলস্টেশন এলাকায় একটি দোকানঘর ভাড়া নিয়ে স্টিলের ফার্নিচার ব্যবসা শুরু করেন।

কয়েক দিন আগে পাপন তার নিজ বাড়ির বসতঘরের চালা মেরামত করেন। মেরামতকালে ঘরের পেছন দিকে টিনের ছাউনির কিছু অংশ থানাপ্রাচীরের (বাউন্ডারি) ভেতরে চলে যায়। এই অপরাধে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে পাপন সাহাকে আটক করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।

সারাদিন থানায় আটক থাকার পর ওই দিন সন্ধ্যায় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান পাপন। সেখান থেকে সরাসরি নিজ বাড়িতে গিয়ে গোসল করে খাবার খান। পরে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজ দোকানে গিয়ে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে পাপন তার ব্যবহৃত মোবাইলফোন নম্বর থেকে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসিকে ফোন করেন। এসময় পাপন ওসিকে বলেন, 'স্যার, আমি আত্মহত্যা করছি। আমার লাশটা আপনি এসে নিয়ে যাবেন'।

এ কথা বলেই পাপন তার ডান হাতে বৈদ্যুতিক তার জড়িয়ে নিজেই তাতে সংযোগ ঘটান। এ সময় বিদ্যুস্পৃষ্টে পাপন গুরুত্বর আহত হন। তাৎক্ষনিক গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান এলাকার কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পাপনকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর কোমল কুমার সাহা বলেন, পাপন সাহার আত্মহত্যার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। পাপনের পরিবার জানিয়েছে, পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ায় লজ্জা ও অপমানে আত্মহত্যা করেছে পাপন সাহা।

এব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, বসতঘরের ছাউনি নির্মাণে অবৈধ ভাবে থানার জায়গা দখল চেষ্টার অপরাধে পাপন সাহাকে আটক করা হয়েছিল। পরে মুচলেকা নিয়ে থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। আটক করার কারণে অপমানিত হয়ে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে আমার মনে হয়না।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের ঘটনায় মামলা Dec 29, 2025
img
যুদ্ধবিরতিতে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়াকে শুভেচ্ছা জানালেন ট্রাম্প Dec 29, 2025
img
জাতীয় পার্টির (জাফর) নতুন মহাসচিব নওয়াব আলী আব্বাস Dec 29, 2025
img
সিরাজগঞ্জে বঞ্চিত হয়েও বিএনপির নামেই মনোনয়ন কিনলেন ৫ নেতা Dec 29, 2025
img
শিক্ষার্থীদের হাতে নির্ভুল বই তুলে দিতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে : শিক্ষা উপদেষ্টা Dec 29, 2025
img
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন এনসিপির আখতার হোসেন Dec 29, 2025
img
জামায়াতের সঙ্গে কোনো আদর্শিক ঐক্য হয়নি, এনসিপি তার আগের অবস্থানেই আছে : নাহিদ Dec 29, 2025
img
৪০ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটল মোজাম্বিকের Dec 29, 2025
img
নির্বাচন না হওয়ার আর কোনো সংশয় নেই : মো. আসাদুজ্জামান Dec 29, 2025
img
চার দফা দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Dec 29, 2025
img
সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করছেন শান্ত : রাজিন সালেহ Dec 28, 2025
img
হাদি মানে আজাদী, হাদি মানে ইনসাফ স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ Dec 28, 2025
img
মায়ের খোঁজ নিতে এভারকেয়ারে তারেক রহমান Dec 28, 2025
img
ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী দুই নেতাকে কিল-ঘুষি Dec 28, 2025
img
শেষ মুহূর্তে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন কামরুল Dec 28, 2025
img
ঢাকা-৬ আসনে মনোনয়নপত্র জমা, নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে আশাবাদী ইশরাক Dec 28, 2025
img
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন Dec 28, 2025
img
আমি এখনও কৈশোরের মতোই ক্রিকেটকে ভালোবাসি: সাকিব Dec 28, 2025
img
‘আমির খানের সম্পত্তি আমি পাব না’ মন্তব্য ইমরান খানের! Dec 28, 2025
img
রাশেদ খানকে মনোনয়ন দেওয়ায় নির্বাচনী কর্মশালা প্রত্যাখ্যান ছাত্রদলের Dec 28, 2025