প্রেমিকের সামনে বখাটেদের হাতে ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রী লজ্জায় অপমানে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। ধর্ষণের পর প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনায় মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানায় প্রেমিকসহ বখাটেদের নামে মামলা হয়েছে। পুলিশ প্রেমিক অয়ন আলীকে গ্রেপ্তার করেছে। পলাতক রয়েছে রতন, তন্ময়সহ চার বখাটে।
জানা গেছে, দৌলতপুর পাঁচকলিয়া গ্রামে কাজী আরিফুর ইসলামের মেয়ে আফরোজা আক্তার বৃহস্পতিবার দুপুরে তার অনয়ের সঙ্গে মোটরসাইকেলে বেড়াতে যায়। ঘড়িয়াল এলাকায় স্থানীয় উদীয়মান যুব সংঘ ক্লাবের রতন, তন্ময়সহ কয়েকজন বখাটে মোটরসাইকেল থামিয়ে আফরোজা ও অয়নকে ক্লাব ঘরে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে রেখে ধর্ষণ করে। রাতে আফরোজাকে তার চাচা কাজী নাজিমুদ্দিনের বাড়িতে রেখে আসে তারা। শুক্রবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন মাতবরকে সঙ্গে নিয়ে অয়নসহ বখাটেরা ওই বাড়িতে আসে। সেখানে বাবা আরিফুল ইসলাম তার মেয়েকে বিয়ের জন্য অয়নকে চাপ দেয়। অয়ন রাজি না হয়ে চলে যায়। এরপর শুক্রবার দুপুরের দিকে আফরোজা ফুফু রুবিয়ার ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করে। সন্ধ্যায় দৌলতপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে গ্রেফতারের পর অয়ন স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে দাবি করে, উদীয়মান ক্লাবের ছেলেরা আফরোজাকে মারধর করে ও ভয় দেখিয়ে তার সামনেই ধর্ষণ করে। এ কারণে সে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়নি।
দৌলতপুর থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অয়ন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন ও তন্ময়ের বিরুদ্ধে আফরোজা ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে। তার অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
টাইমস/জেকে