বগুড়া শহরে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রনি নিহত হয়েছেন। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। তিনি বগুড়া শহরের মালগ্রাম এলাকার শাহাদাত হোসেন সাজুর ছেলে।
রোববার মধ্য রাতে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত রনির স্বজনরা জানায়, গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী আবদুস সোবহান তার সহযোগীদের নিয়ে রনির বাড়ির সামনে আসেন। তারা মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রনিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। রনির ভাগ্নে ছন্দকেও ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রনি ও তার ভাগ্নেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে পার্শ্ববতী মালগ্রাম দীঘিরপাড় এলাকায় ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ১৯ জুলাই রনির বড় বোন শারমিন আকতার রুমা সদর থানায় সোবহান, নোমান, রাকিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পরে পুলিশ অভিযুক্ত রাকিবকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার বাদি শারমিন আকতার রুমা বলেন, গত রমজান মাসে শহরের বাঁদুড়তলা থেকে আমার ছেলের (আহত ভাগ্নে ছন্দ) দুই বন্ধু আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পাড়ায় বান্ধবীদের সঙ্গে আড্ডা দেয়া নিয়ে মালগ্রামের নোমান ও রাকিবের সঙ্গে ওই সময় তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর থেকে মামলার প্রধান আসামি সোবহান আমার ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রনি ও ছেলেকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো। এরই জেরে তারা আমার ভাই ও ছেলেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করেছে।
এ ব্যাপারে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত বলেন, পুলিশের কথিত সোর্স, মাদক ব্যবসায়ী ও সাবেক শিবির ক্যাডার আবদুস সোবহান এ হামলায় জড়িত। তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা না হলে সাংগঠনিক ভাবে কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে।
এ ঘটনায় বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, সোবহান পুলিশের সোর্স নন। নারীঘটিত বিষয়ে মারপিটের ঘটনা মীমাংসা করা নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
টাইমস/এসএন