খাদ্যঘাটতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সচেষ্ট সরকার -প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা সংকটে দেশে যেন খাদ্য ঘাটতি না হয় সে জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বলেন, নগদ অর্থ সহায়তা, সার-কীটনাশক বিতরণ, উন্নত বীজ সরবরাহসহ কৃষি উপকরণ বিতরণের কাজও শুরু হয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের কৃষিখাতে যেন কোনো ভাবেই কোনো প্রভাব না পড়ে সে ব্যাপারে সরকার সতর্ক রয়েছে।

মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস অন্য সব দেশের মত আমাদেরও অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে। তারপরও আমাদের কৃষির যে অগ্রগতি এটা ধরে রাখতে হবে। দেশের মানুষের আর যাই হোক যেন খাদ্যের অভাব না থাকে। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো।

করোনা সংকটকালীন যারা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছের তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ধান কাটার মৌসুমে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে গিয়েছিল। তারা নিজের হাতে ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিয়েছে। এই কাজ করতে গিয়ে অনেইে কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্তও হয়েছেন। অনেকে মৃত্যুবরণও করেছেন। এসময় তিনি মৃতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের আশাবাদ ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এসডিজি অর্জন করবো। বিশেষ করে এসডিজির যে ১৭টি মূল নির্দেশনা রয়েছে। তার মধ্যে যে কয়টা আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করব। ঠিক যে কয়টা বিষয় আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজন, সেগুলো আমাদের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সংযুক্ত করে নিয়েছি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ যথাসময়েই আমরা এসডিজি অর্জন করতে পারবো।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচিত হয়ে গেছে : পীর চরমোনাই Dec 21, 2025
img
কারাগারে বসে মনোনয়নপত্র নিলেন সাবেক এমপি Dec 21, 2025
img
তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি Dec 21, 2025
img
হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকবে বিএনপি : প্রিন্স Dec 21, 2025
img
প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ, তবু রাজস্বে ঘাটতি ২৪ হাজার কোটি Dec 21, 2025
img
২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পোস্টাল ভোটিং অ্যাপে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে Dec 21, 2025
img
আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ Dec 21, 2025
img
কে করবেন রাজশাহীর উইকেটকিপিং? মুশফিক নাকি আকবর? Dec 21, 2025
img
ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাসভবনে চুরি প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার সামগ্রী , আটক ৩ Dec 21, 2025
img
হাদি হত্যা: প্রধান আসামি ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা Dec 21, 2025
img
নির্বাচন বানচাল করতেই ওসমান হাদিকে হত্যা: জুনায়েদ সাকি Dec 21, 2025
img
লালমনিরহাটে অনুপ্রবেশকারী বিএসএফ সদস্যকে ফেরত দিল বিজিবি Dec 21, 2025
img
শ্রীলঙ্কায় ভূমিধস নিয়ে সতর্কবার্তা, বাংলাদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ Dec 21, 2025
img
ভক্তদের সঙ্গে নিজের জীবন দর্শন ভাগ করলেন ইশা সাহা Dec 21, 2025
img
ট্রাম্পকে ফিফার ‘পিস প্রাইজ’, আগেই ফিফার কাছে একগুচ্ছ শর্ত দেয় হোয়াইট হাউজ! Dec 21, 2025
img
হোয়াইট হাউসের ক্রিসমাস ডিনারে আমন্ত্রণ পাওয়া অবিশ্বাস্য এক অভিজ্ঞতা: মল্লিকা শেরওয়াত Dec 21, 2025
img
টিএফআই সেলের মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ ২৩ ডিসেম্বর Dec 21, 2025
img

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

দিল্লির ঘটনা ‘বিভ্রান্তিকর প্রচার’ নয়, বিক্ষোভ সম্পর্কে আগে জানানো হয়নি Dec 21, 2025
img
মকসুমুল হাকিম চৌধুরীকে সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি Dec 21, 2025
img
সোনার দামে নতুন রেকর্ড, প্রতি ভরি ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা Dec 21, 2025