ঘোড়াঘাট ইউএনও হত্যাচেষ্টার মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। পুলিশের তদন্ত যত এগিয়ে যাচ্ছে, ততই খুলতে শুরু করছে নতুন নতুন রহস্যের জট। এবার জানা গেছে, ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর মূল হামলা চালায় ওই বাসভবনের মালি রবিউল। মাস্ক ও পিপিই পরে নিজেকে আড়াল করেন রবিউল।
পুলিশী হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা স্বীকার করেছেন রবিউল। এর আগে রবিউলের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে শনিবার ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রশাসনের বরখাস্ত কর্মচারী রবিউলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন এসব কথা জানান রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। শিগগিরই এ হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন-ইউএনওর ওপর হামলা: ৬ দিনের রিমান্ডে মালি রবিউল
পুলিশ জানায়, মালি রবিউলের সহযোগী নৈশ প্রহরী পলাশ ও অন্য আসামি আসাদুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিউলের আঘাতেই আহত হয়েছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা। ররিউলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়িও ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল পুলিশকে জানিয়েছে, নিজের অপরাধ লুকাতে ও নিজেকে বাঁচাতে ঘটনার দিন পরে থাকা নিজের ব্যবহৃত শার্ট, ক্যাপ ও গামছা নিজেই পুড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে গুরুতর আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানম এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অবশ হয়ে থাকা তার ডান হাত এখন নাড়াচাড়া করছেন ইউএনও ওয়াহিদা। ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এর আগে ২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় গ্রেপ্তার অপরাধীরা।
টাইমস/এসএন