রাজধানীতে এনআইডি জালিয়াতি চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে এনআইডি জালিয়াতি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। শনিবার রাতে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডের ডি-ব্লক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম) সহকারী কমিশনার মধুসুদন দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. মজিদ (৪২), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪১), মো. সুমন পারভেজ (৪০), সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর (৩২) ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম (২৬)। তাদের কাছে ১২টি জাল জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।

মধুসুদন দাশ বলেন, সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর ও আনোয়ারুল ইসলামকে ই-জোন কোম্পানির মাধ্যমে ২০১৭ সালে নির্বাচন কমিশনের অধীনে খিলগাঁও ও গুলশান অফিসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে তারা সহজেই জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি ও সেন্ট্রাল সার্ভারে এন্ট্রি দিতে পারতেন। জালিয়াতির মাধ্যমে একই ব্যক্তির দুইটি ভিন্ন এনআইডি নম্বর তৈরি হওয়ায় ঋণ আবেদনে খেলাপি গ্রাহকদের তথ্য ব্যাংকে গোপন থাকতো।

তিনি আরও জানান, এই কাজ করে দিতে চুক্তি করতেন সুমন ও মজিদ। জাল এনআইডি বাবদ ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা এবং ব্যাংক থেকে পাওয়া মোট ঋণের ১০ শতাংশ নিতেন চক্রের সদস্যরা। নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে এন্ট্রি করতে প্রতিটি জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নিতেন সিদ্দার্থ ও আনোয়ারুল। তারা এ পর্যন্ত ৪০ থেকে ৫০টি দৈত জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে কোনো ব্যক্তির নাম দুই বার নিবন্ধিত হলে তা মুছতে বছর খানেক সময় লেগে যায়। এই সময়ের মধ্যে খেলাপি গ্রাহকরা অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিতেন। সম্পূর্ণ নতুন এনআইডি নম্বর হওয়ায় তাদের ঋণ খেলাপের বিষয়টি ব্যাংক ভেরিফিকেশনে ধরা পরতো না।

তাদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই : সুপ্রদীপ চাকমা Dec 27, 2025
img
এনসিপির আরো ৩ নেত্রীর পোস্ট! Dec 27, 2025
img
ধানমণ্ডির মাহবুব ভবনে প্রাণীদের সঙ্গে সময় কাটালেন তারেক রহমান Dec 27, 2025
img
নিকুঞ্জের বটতলায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ Dec 27, 2025
img
ভোটাধিকার নিশ্চিত হলেই রাষ্ট্রের মালিক হবে জনগণ : হাবিব Dec 27, 2025
img
সংকটকালে দেশ রক্ষায় বিএনপির বিকল্প নেই: রবিউল আলম Dec 27, 2025
img
অঙ্কনের ফিফটি ও জাকেরের ক্যামিওতে লড়াইয়ের পুঁজি পেল নোয়াখালী Dec 27, 2025
img
ঢাকায় জনঘনত্ব আরও বাড়ানো আত্মঘাতী পদক্ষেপ : ড. আদিল Dec 27, 2025
img
জানা গেল তাসনিম জারার পদত্যাগ করার কারণ! Dec 27, 2025
img
আর্জেন্টিনায় ভূপৃষ্টে আঘাত হানল ভূমিকম্প Dec 27, 2025
img
মুস্তাফিজের আইপিএলে অংশগ্রহণে মাঠে ভাঙচুরের হুমকি Dec 27, 2025
img
আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে : প্রেসসচিব Dec 27, 2025
img
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রথম নারী গভর্নর শামশাদ আখতার আর নেই Dec 27, 2025
img
মনোনয়ন না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বিএনপি নেতা Dec 27, 2025
img
ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম Dec 27, 2025
img
সুকেশের পরে নোরা ফাতেহির জীবনে নতুন প্রেমের আগমন! Dec 27, 2025
img
এনসিপি থেকে পদত্যাগ করলেন তাসনিম জারা Dec 27, 2025
img
চট্টগ্রাম-১০ নয়, অন্য যে আসন থেকে লড়বেন আমীর খসরু Dec 27, 2025
img
কোচ জাকিরের সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল ঢাকা ক্যাপিটালস Dec 27, 2025
img
স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন এনসিপির তাসনিম জারা Dec 27, 2025