ধর্ষণ বিরোধী লংমার্চে আওয়ামী লীগের হামলা : ফেনীতে আহত ১৭

নোয়াখালী অভিমুখী ধর্ষণ বিরোধী লংমার্চে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ফেনীতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ১৭ নেতাকর্মীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার দুপুরে ফেনী শহরের শান্তি কোম্পানি মোড় এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেয় বলে জানা গেছে। তবে ফেনী জেলা আওয়ামী হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

লংমার্চে থাকা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদরি জয় গণমাধ্যমকে বলেন, ফেনীতে ধর্ষণ বিরোধী সমাবেশ শেষে লংমার্চটি নোয়াখালী অভিমুখে রওনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা বাসে উঠে বসার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা চালায়। আমাদের ১৭ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

হামলাকারীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি গণমাধ্যমকে বলেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে দলীয় লোকজন জড়িত নয়। স্থানীয় এমপি নিজাম হাজারীকে নিয়ে কটূক্তি করায় কতিপয় সাধারণ যুবক এ হামলা করেছে বলে শুনেছি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। চিহ্নিত নেতাকর্মীরা এই হামলায় সরাসরি অংশ নিয়েছে।

লংমার্চে অংশ নেয়া ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল গণমাধ্যমকে বলেন, হামলা চলাকালীন পুলিশের নিরবতা আমাদের অবাক করেছে। পুলিশ চাইলেই হামলাকারীদের নিবৃত করতে পারতো। কিন্তু তারা তা করেনি।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দলীয় লোকেরা লংমার্চে হামলা চালিয়েছে। লংমার্চে অংশকারীদের নোয়াখালী পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণজাগরণ তৈরির লক্ষ্যে শুক্রবার নোয়াখালীর পথে লংমার্চ শুরু করে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’। বাম ছাত্র সংগঠনগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও নারী সংগঠন এতে যোগ দেয়।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের অবসান চান: ট্রাম্প Dec 04, 2025
img
আজ দেখা যাবে ‘কোল্ড মুন’ Dec 04, 2025
img
ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন Dec 04, 2025
img
কোহলির কীর্তি ম্লান করে প্রোটিয়াদের দাপুটে জয় Dec 04, 2025
img
আজ ভারত সফরে যাচ্ছেন পুতিন Dec 04, 2025
img
আজ বাজারে আসছে নতুন ৫০০ টাকার নোট Dec 04, 2025
img
৩০২ স্কোর নিয়ে দূষণে আবারও বিশ্বের শীর্ষে ঢাকা Dec 04, 2025
img
নোয়াখালীতে বিআরটিসির ২ বাসে আগুন Dec 04, 2025
img
গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শিগগিরই শুরু হবে : ট্রাম্প Dec 04, 2025
img
সেনাপ্রধান অসীম মুনিরকে মানসিক ভারসাম্যহী বললেন ইমরান খান Dec 04, 2025
img
ইমরান খানের জন্য উদ্বিগ্ন ভারতীয় অভিনেত্রী মুনমুন সেন Dec 04, 2025
img

সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টা

নির্বাচন ও গণভোটে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে Dec 04, 2025
img
ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে মিষ্টি আলু Dec 04, 2025
img
ঘরোয়া উপকরণেই তৈরি করুন রেস্টুরেন্টের মতো সস Dec 04, 2025
img
ইনজুরি নিয়ে এবার নেইমারের হ্যাটট্রিক Dec 04, 2025
img
ধারাবাহিক ভূমিকম্প কিসের ইঙ্গিত? Dec 04, 2025
img
ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মেলাবন্ধনে ফাতিমার অনন্য উপস্থিতি Dec 04, 2025
img
অভিনয়ের গভীরতা বোঝাতে অনন্যাকে নতুন পথ দেখালেন শাহরুখ Dec 04, 2025
img
অভিনয় ছাড়িয়ে প্রযোজনায় নতুন যাত্রা সামান্থার Dec 04, 2025
img
৫ গোলের ম্যাচে এক গোল করেই কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন Dec 04, 2025