ইন্টারনেট-ক্যাবল টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত আপতত স্থগিত

সরকারের আশ্বাসে সারাদেশে দিনে ৩ ঘণ্টা ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি সংযোগ বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং কেবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)

শনিবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংগঠন দুটির ডাকা জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছ থেকে পাওয়া আশ্বাসের ভিত্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

আইএসপিএবি সভাপতি আবদুল হাকিম বলেন, মাননীয় মন্ত্রী (মোস্তাফা জব্বার) আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে, তিনি আমাদের সঙ্কট নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। এখন সে বৈঠকের জন্য দুই, তিন বা চার দিন যতই সময় লাগুক আমরা অপেক্ষা করব। আশা করছি, এ সপ্তাহের মধ্যেই আমরা ফলপ্রসূ সমাধান পাব।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে বৈঠক হবে। আগামীকালের ওই মিটিংয়ে কোনো সমাধান না আসলে আমরা আগামী শনিবার থেকে আবার ধর্মঘটে যাব।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমি বলেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যত দ্রুত পারি সিদ্ধান্ত নেব। এখন তিনি কবে আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেন, সেটা কিন্তু আমি এখনই বলতে পারব না।

বিকল্প ব্যবস্থা না করে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন থেকে ঝুলন্ত তার অপসারণের কাজ বন্ধ না করলে রবিবার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সারা দেশে ইন্টারনেট ও কেবল টিভি সেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং কেবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। তাদের এই ঘোষণায় উদ্বেগ জানিয়েছিলেন ব্যাংক খাতের কর্মকর্তারা। ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে ব্যাংক ও মোবাইলে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন সম্ভব হবে না বলে সতর্ক করেছিলেন তারা।

এদিকে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে অনলাইনের ক্লাস নেওয়া বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের সময় পাল্টে সকালের বদলে রাতে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিকালে বিষয়টির সুরাহায় উদ্যোগী হন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জাব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক। উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে সিদ্ধান্ত স্থগিতের কথা জানান তারা।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আপেল নিয়ে কীসের ইঙ্গিত দিলেন জয়া আহসান Dec 11, 2025
img
ঢাবির সাবেক ভিসি মাকসুদ কামালের বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষী হচ্ছেন সাদিক কায়েম Dec 11, 2025
img
রাখাইনে হাসপাতালে জান্তার বিমান হামলায় প্রাণ হারাল ৩১ Dec 11, 2025
img

পঞ্চদশ সংশোধনী

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি মুলতবি Dec 11, 2025
img
বগুড়ার ধুনটে আ.লীগের ১০৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা Dec 11, 2025
img
জিরা আমদানি ৩৫৬ টন কমায় কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫০ টাকা Dec 11, 2025
img

জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলন

প্লাস্টিক দূষণ রোধে শক্তিশালী বৈশ্বিক উদ্যোগের দাবি বাংলাদেশের Dec 11, 2025
img
তফসিল ঘোষণার পর কি পরিবর্তনের সুযোগ আছে? Dec 11, 2025
img
তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী রানা হত্যার বিচারের দাবিতে ফার্মগেট অবরোধ Dec 11, 2025
img
বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন ডিজিটালাইজেশন করতে নির্দেশ হাইকোর্টের Dec 11, 2025
img
তফসিল ঘোষণার পর কোন কোন বিষয় স্পষ্ট করা হয়? Dec 11, 2025
img
দর্শক সবসময় নায়কনির্ভর গল্প চায় না : নুসরাত ভারুচা Dec 11, 2025
img
হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২য় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Dec 11, 2025
img
ভোটে জিততে জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে : মির্জা ফখরুল Dec 11, 2025
img
অবশেষে রিশাদের গায়ে হোবার্টের জার্সি Dec 11, 2025
img
দ্বিতীয় সন্তান হারানোর স্মৃতিতে কাতর গোবিন্দ-সুনীতা Dec 11, 2025
img
রম্যা নয়, রজনীকান্তের প্রথম পছন্দ ছিলেন ঐশ্বরিয়া Dec 11, 2025
img
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সিক্সজি’ মন্তব্যে ফের সমালোচনার ঝড় Dec 11, 2025
img
ক্যারিবীয় ব্যাটিংয়ে ধস নামানো পেসার ছিটকে গেলেন ম্যাচ থেকে Dec 11, 2025
img
লিথুয়ানিয়ার রাষ্ট্রপতির কা‌ছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ Dec 11, 2025