এবার নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের এক ছাত্রীকে নিখোঁজের ১০ ঘন্টা পর হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় গত শনিবার ভিকটিম ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেছেন। ভিকটিম ছাত্রীর বাড়ি জেলার কালিয়া উপজেলায়।
গত শনিবার রাত ৯টার দিকে নড়াইল শহরের এসএম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার পাশ থেকে ওই ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভিকটিম ছাত্রীর বাবা জানান, প্রতিদিনের মত ওই ছাত্রী নড়াইল শহরে প্রাইভেট পড়তে আসে। দুপুরে বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় ছাত্রীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার বাবা। কিন্তু মেয়ের ফোন বন্ধ পান।
পরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে একটি ফোন নম্বর থেকে ছাত্রীর বাবাকে কল দিয়ে মেয়ের মুক্তিপণ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে দুর্বৃত্তরা। এসময় ছাত্রীর বাবা ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেন।
নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মশিউর রহমান বাবু গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্রীর চিকিৎসা চলছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এছাড়া পাশবিক নির্যাতন বা কোনো ধরণের ক্ষতির আলামতও পাওয়া যায়নি। তবে মেয়েটি মানসিকভাবে বিপর্যস্থ ও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আছে।
এ প্রসঙ্গে নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াছ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত অপরাধী কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। অভিযান চলছে।
টাইমস/এসএন