জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে মিথ্যা, বানোয়াট, গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিলে শাস্তির বিধান রেখে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নীতিমালা, ২০২০’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া জাতীয় জরুরি সেবা পরিচালনায় একটি আলাদা ইউনিট গঠন করে কমপক্ষে ডিআইজি পদমর্যাদার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সেখানে দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে সেবা পাওয়ার বিষয়টি আরও কার্যকর করতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় সম্পদ, জননিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা অপরাধ দমন, জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার মত জরুরী সেবা যেন আরও কার্যকর ভাবে দেয়া যায় এ লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘৯৯৯’ নম্বরে যদি শিশু বা কেউ যদি না বুঝে গুজব বা মিথ্যা তথ্য দেয়, সেটা ছাড় দেয়া হবে। তবে ইচ্ছা করে যদি কেউ এমনটা করে, তবে তা অপরাধ হিসেবে ধরা হবে।
তিনি আরও বলেন, কে কোথা থেকে কল করছে, সেটা টোটালি ডিটেক্ট করা হবে। সুতরাং কেউ সহজে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সুবিধা করতে পারবে না। এ জরুরি সেবাটি মূলত প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের গাইডলাইনে হয়েছে। কাজেই এ সেবাটি বিতর্কিত করার কোনো সুযোগ নেই।
টাইমস/এসজে/এসএন