‘প্রধানমন্ত্রিত্বকে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ হিসেবে দেখি’

উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পদকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবেই তিনি বিবেচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা ও প্রধানমন্ত্রীর পদ আমার কাছে যতটা না মূল্যবান, তার চাইতে এইটা একটা বড় সুযোগ জনকল্যাণের এবং জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের।

বুধবার সকালে সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মানুষের সেবায় ও দেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি । বাংলাদেশ অবশ্যই এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল এবং এটি একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আমরা এই সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি এবং বিশ্বের বহু দেশ এখন বাংলাদেশকে অনুকরণ করতে চাইছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং তার সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে উন্নয়নের এই গতিকে অব্যাহত রাখা। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হব। অনেক ঘাত–প্রতিঘাত পেরিয়ে আমরা আজকের অবস্থানে এসেছি। কেউই এই গতিকে রুখতে পারবে না।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

এসময় মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনীর ১০১ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৭জন বীরশ্রেষ্ঠর ঘনিষ্ঠ পরিবার-পরিজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার-পরিজন ও মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্রবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সেনানিবাসের মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে এই সংবর্ধনার আয়োজন করেন।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমদ ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৫ ঘণ্টা পর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে Nov 25, 2025
img
ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছাড়লেন ৭ নেতা Nov 25, 2025
img
হকিতে চিলিকে ৩-০ গোলে হারাল বাংলাদেশ Nov 25, 2025
img
হতাশার কথা খুলে বললেন জেফার রহমান Nov 25, 2025
img
অভিনয় থেকে দূরে নয়, নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে তুলিকা Nov 25, 2025
img
বিশ্বকাপের পরই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন রোনালদো! Nov 25, 2025
img
ফের মুখোমুখি ‘লড়াই’ দেব-শুভশ্রীর Nov 25, 2025
img
ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তরুণদের হত্যা করেছে হাসিনা : জোনায়েদ সাকি Nov 25, 2025
img
নিম্নমানের ‘কিট ক্যাট’ বিক্রির অভিযোগে নেসলে এমডির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা Nov 25, 2025
img
দারিদ্র্য সীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ : বিশ্বব্যাংক Nov 25, 2025
img
চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির প্রমাণ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব : রাশেদ খান Nov 25, 2025
img
বর্ডার-২ এর গানে এবার একসাথে থাকছে সনু-অরিজিত-দিলজিত Nov 25, 2025
img
ধানের শীষ হোক ঐক্যের প্রতীক: এমরান সালেহ প্রিন্স Nov 25, 2025
img
নন-ক্যাডারের ৭ কর্মকর্তাকে সুখবর দিলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় Nov 25, 2025
সব ভুলে আবার এক সানাই–মূসা: আদালত থেকে সংসারে ফেরা Nov 25, 2025
ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপে কী আলোচনা করলেন ট্রাম্প-শি? Nov 25, 2025
মৃত্যুর ভয় থেকে যেভাবে বাঁচবেন Nov 25, 2025
ইসির পোস্টাল অ্যাপে নিবন্ধন ৩১ হাজার ছাড়াল Nov 25, 2025
img
দ্রুত সময়ের মধ্যে কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণের আশা ফায়ার সার্ভিসের Nov 25, 2025
img
চট্টগ্রামে রেললাইনে পিকআপের ইঞ্জিন বিকল, ট্রেনের ধাক্কা Nov 25, 2025