এবার সিকৃবি শিক্ষার্থীকে বাস থেকে ফেলে দিয়ে ‘হত্যা’

রাজধানী ঢাকার প্রগতি সরণিতে বাসচাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষার্থী আবরার নিহতের ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বাস থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চালক-হেলপারের বিরুদ্ধে।

শনিবার বিকাল ৫টায় মৌলভীবাজারের শেরপুরে সিলেট-ময়মনসিংহ রোডে উদার পরিবহন নামে একটি বাসের চালক ও হেলপার মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের বন্ধুরা।

নিহত ছাত্রের নাম ওয়াসিম আব্বাস। তিনি সিকৃবির বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

তার বাড়ি হবিগঞ্জে নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়ন রুদ্র গ্রামে। তার বাবার নাম মো. আবু জাহেদ মাহবুব ও মা ডা. মীনা পারভিন।

নিহতের সহপাঠীরা জানান, বাস ভাড়া নিয়ে হেলপার ও চালকের সঙ্গে তাদের তর্ক হয়। একপর্যায়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুরে বাস থেকে ওয়াসিমকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় হেলপার। পরে তার ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে নিয়ে যায় বাসের চালক।

ওয়াসিমের লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। খবর পেয়ে রাত পৌনে ৮টায় সিকৃবির ছাত্ররা ওসমানী হাসপাতালে ছুটে যান।

এ সময় উত্তেজিত ছাত্ররা বাসচালক ও হেলপারের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন। সেখান থেকে শতাধিক ছাত্র ছুটে যান নগরীর দক্ষিণ সুরমার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে।

এ রিপোর্ট লেখার সময় রাত পৌনে ১০ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া দক্ষিণ সুরমায় কদমতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় বিক্ষোভ ও ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, ১৯ মার্চ সকাল ৭টার দিকে বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার শাহজাহানপুর বাসা থেকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ড্রাইভারসহ বের হয়। বসুন্ধরা গেটে আবরারকে নামিয়ে দিয়ে ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে বাসার উদ্দেশে রওনা হয়।

আবরার বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে উঠার জন্য বসুন্ধরা সিটি গেটের সামনে প্রগতি সরণি জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তার পূর্ব দিকে থেকে পশ্চিম দিকে পার হওয়ার সময় সু-প্রভাত পরিবহনের একটি বাস আবরারকে চাপা দেয়। বাসের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই আবরারের মৃত্যু হয়।

 

টাইমস/জেডটি

Share this news on:

সর্বশেষ

যে ভুলগুলো শুক্রবারে করবেন না | ইসলামিক জ্ঞান Dec 13, 2025
img
দুঃখ প্রকাশ করলেন রিজভী Dec 13, 2025
img
এই দেশে দিল্লির মসনদ জ্বালিয়ে দেওয়া হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ Dec 13, 2025
img
বিএনপির মিছিলে ঢুকে জয় বাংলা স্লোগান, প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল সভাপতির বাড়ি ভাঙচুর Dec 13, 2025
img
মেসিকে কলকাতায় আনা উদ্যোক্তা গ্রেপ্তার, দর্শকদের টাকা ফেরতের চিন্তা! Dec 13, 2025
img
ছাত্রদলের ৯ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ Dec 13, 2025
img
‘ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী বারবার অবস্থান বদলাচ্ছে’ Dec 13, 2025
img
রুনা ম্যামকে যখনই দেখি ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে যায় : নাবিলা Dec 13, 2025
img
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা বিজিবির Dec 13, 2025
img
স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি রাজাকারের আস্ফালন দেখার জন্য নয়: মেঘমল্লার বসু Dec 13, 2025
img
জুবিন নটিয়ালের কনসার্টে বিশৃঙ্খলা, আহত সাংবাদিকসহ একাধিক Dec 13, 2025
img
ওসমান হাদিকে গুলি: অভিযুক্তদের ধরতে সীমান্তে কড়া নজরদারি-তল্লাশি বিজিবির Dec 13, 2025
img
ভুয়া ফটোকার্ড প্রচারকারীদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা ডিএমপির Dec 13, 2025
img
এবার রাজশাহীতে এনসিপি নেতার ওপর হামলা Dec 13, 2025
img

অ্যাটর্নি জেনারেল

‘ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীর শিকড় উপড়ে ফেলা হবে’ Dec 13, 2025
img
হাদির ওপর হামলা মানে জুলাইয়ের ওপর হামলা : পুতুল Dec 13, 2025
img
৫ ফুট উচ্চতার সুড়ঙ্গ দিয়ে বেলারুশ থেকে পোল্যান্ডে ১৮০ অভিবাসী Dec 13, 2025
img
যেকোনো মূল্যে দেশে নির্বাচন হতে হবে: তারেক রহমান Dec 13, 2025
img
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একদিনে হাসপাতালে ভর্তি ৫৭২ Dec 13, 2025
img
বারবার অনুরোধ করতাম হাদি সাবধানে থাকো, বের হইয়ো না: সাদ্দাম Dec 13, 2025