নয় মাসে রাসেলকে ৪৫ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ আদালতের

বাস চাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে প্রতি মাসে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের বাকি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে রাসেলকে ওই অর্থ দিতে হবে। আর মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে অর্থ পরিশোধের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

নির্ধারিত সময়ে ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত মালিক ও সরকারের উদ্দেশ্যে বলে, ‘যে লোকটা আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের জন্য ফন্দি-ফিকির করে, সরকার তাকে কীভাবে পেট্রোনাইজ করে আমরা দেখব। কিস্তিতে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আপনারা যথেষ্ট বেয়াদবি করেছেন। আপনাদের আচরণ কোনোভাবেই শোভনীয় নয়।’

আদালতে গ্রিন লাইনের মালিকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খোন্দকার শামসুল হক রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম।

ক্রাচে ভর দিয়ে আজ আদালতে উপস্থিত হন রাসেল সরকার।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয় প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে। তাকে বাঁচাতে একটি পা কেটে ফেলতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা।

রাসেল সরকারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে সাবেক সাংসদ উম্মে কুলসুমের করা এক রিট আবেদনে চিকিৎসা খরচ বাদেও ৫০ লাখ টাকা দিতে গ্রিনলাইনকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। পরে আপিল বিভাগেও ওই আদেশ বহাল থাকে।

এরপর গত ১০ এপ্রিল রাসেল সরকারকে ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ বাকি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য এক মাস সময় পায়।

ওই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও আর কোনো অর্থ তারা পরিশোধ না করায় গত ১৫ মে আদালত আরও সাত দিন সময় দিয়ে ওই সময়ের মধ্যে পুরো অর্থ পরিশোধের বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেয়।

গত ২২ মে আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করে  হাইকোর্ট। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতির ওপর আদেশের জন্য ২৫ জুন দিন ধার্য করেছিল আদালত।

 

টাইমস/এসআই

 

 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আইবুড়োভাতে প্রথমবার একসঙ্গে মধুমিতা ও দেবমাল্য Dec 24, 2025
img
বাংলাদেশ আর কখনো আধিপত্যবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করবে না : মঞ্জু Dec 24, 2025
১১৬ কোটি টাকায় সৌদি আরবে বিলাসবহুল ভিলা কিনলেন রোনালদো Dec 24, 2025
img
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে ১০ প্রশ্নের জবাব দিলেন মাহাদী আমিন Dec 24, 2025
img
প্রবীণদের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর আহ্বান স্বাস্থ্য উপদেষ্টার Dec 24, 2025
img
এআইয়ের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ শ্রীলীলা Dec 24, 2025
img
গাজীপুরে জাসাস নেতাকে কুপিয়ে হত্যা Dec 24, 2025
img
সমুদ্র সৈকতে নজরকাড়া অবতারে শাহতাজ Dec 24, 2025
img
পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধনের সময় বাড়ল Dec 24, 2025
img
শনিবার ব্যাংক খোলা: ইসি সচিব Dec 24, 2025
img
মুক্তি পেয়েই বক্স অফিসে ঝড় তুলল অ্যাভাটারের তৃতীয় পর্ব Dec 24, 2025
img
তারেক রহমানের আগামী ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা Dec 24, 2025
img
বড়দিন উপলক্ষে শিল্পকলায় বিশেষ সাংস্কৃতিক আয়োজন Dec 24, 2025
img
সরকারের অবস্থান স্পষ্ট, আ.লীগ ভোটে অংশ নিতে পারবে না: প্রেস সচিব Dec 24, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২ Dec 24, 2025
img
এজেন্সির প্রতি হতাশ বিটিএসের আরএম! Dec 24, 2025
img
প্রত্যাবর্তনের ম্যাচেই ইতিহাস, শচীনকে ছাড়ালেন কোহলি Dec 24, 2025
img
রাতে ৯ ভারতীয়কে পুশইন বিএসএফের, ভোরে বিজিবির পুশব্যাক Dec 24, 2025
img
দিনাজপুর-৩ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ Dec 24, 2025
img
বৃহস্পতিবার থেকে টানা ৩ দিন বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজার Dec 24, 2025