রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আবাসিক ভবনের আসবাবপত্র কেনায় ‘দুর্নীতি’র প্রকাশিত খবর প্রসঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, আপনারা অনুগ্রহ করে লিমিটের মধ্যে থাকবেন। এ প্রকল্প তো আপনাদের স্বার্থেই, আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। এমন কিছু ক্যাচি কথা লিখতে যেন না হয়, যেটা ক্ষতি করতে পারে।
ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার একথা বলেন মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
বিজ্ঞানমন্ত্রী বলেন, ‘এ প্রকল্পটি অন্য পাঁচটা প্রজেক্টের মতো না। আজকে নানা কথাবার্তা চলছে। আমি অনুরোধ করব, এমন কিছু করবেন না যেটা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।’
অনুষ্ঠানে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘পুরো প্রকল্পটি আমরা করছি মানুষের স্বার্থে। সামান্যতম ক্ষতি হলেও প্রকল্প রাখব না। আমরা এটাকে আরও নিরাপদ করব।’
রাশিয়ার সহযোগিতায় পাবনার রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে ১ লাখ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে, যেখানে দুটি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট করে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে কর্মরত দেশি-বিদেশিদের আবাসনের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নাধীন ‘রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্প’র নির্মাণাধীন ভবনের আসবাব ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনায় অনিয়মের খবর সম্প্রতি প্রকাশ পায় গণমাধ্যমে।
সেই খবর প্রকাশের পর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্তে ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অনিয়মের চিত্র বেরিয়ে আসে এবং তদন্ত প্রতিবেদনে ৩৪ জন প্রকৌশলীকে দায়ী করা হয়।
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রোসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশনের চুক্তি হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত সর্বাধুনিক তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ব্যবহৃত তেজষ্ক্রিয় জ্বালানি সরিয়ে নিতেও রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
টাইমস/এসআই