ন্যাপ সভাপতি মোজাফ্ফর আহমেদ আর নেই

প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা ও ন্যাপ ( মোজাফফর) এর সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ আমাদের মাঝে আর নেই। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পরিতোষ দেবনাথ।

তিনি জানান, আজ রাত ৭টা ৪৯ মিনিটে মোজাফফর আহমদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই তিনি রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

শুক্রবার এক শোক বিবৃতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দেশের মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, 'দেশের প্রগতিশীল রাজনীতিতে তার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।'

শোক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মরহুমের পরিবারের শোকাহত সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

এই রাজনীতিবিদ ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি গ্রহণ করেন।

আর অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে কুমিল্লার দেবিদ্বার আসনে মুসলিম লীগের জাঁদরেল প্রার্থী মফিজউদ্দিনকে বিপুল ভোটে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আর ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাপের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি অবিভক্ত পাকিস্তান ন্যাপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭১ স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নেতৃত্বের একজন এবং প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন তিনি।

সরকার ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে অন্যদের সাথে তাকেও স্বাধীনতা পদক দেয়ার ঘোষণা করলে তিনি তা সবিনয়ে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।

তিনি নিজেকে কুঁড়েঘরের মোজাফফর বলে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। তিনি জীবনে শেষদিনগুলিতে রাজধানীর বারিধারায় মেয়ের বাসায় জীবন-যাপন করতেন।

 

টাইমস/টিআর/এসআই

Share this news on: