রেলওয়ের সম্পদ দখলমুক্ত করা হবে: রেলমন্ত্রী

রেলওয়ের জায়গা-সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী। রোববার রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলওয়ের জমি ও অন্যান্য স্থাপনা নানাভাবে বেদখল হয়ে গেছে। উচ্ছেদের যে বিষয়টি এসেছে, তা অবশ্যই করা হবে। রেলওয়ের উন্নয়নের প্রয়োজনেই এমনটা করা হচ্ছে।

পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে রোববার সকালে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী।

রেলমন্ত্রী বলেন, যারা রেলওয়ের জমি বা কোয়ার্টার দখল বা বিক্রির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। রেলওয়ের সম্পদ কারও ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। এটা জনগণের, তথা রাষ্ট্রের সম্পদ। তাই এ সম্পদ কুক্ষিগত করে কেউ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে চাইলে তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।

সৈয়দপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় ৩০০ একর জমি জবরদখল হয়ে আছে। এসব জায়গায় প্রায় এক লাখ মানুষের বসবাস। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রেলের এই জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেন, এবার উচ্ছেদ নোটিশ দেয়ার ফলে যারা দালালদের মাধ্যমে অবৈধভাবে দখল করে আছেন, তারা নতুন করে এ জায়গা ইজারা পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন। যারা অবৈধভাবে আছেন, তাদের আবেদনের সুযোগ আছে। দালালমুক্ত হয়ে তারা আবেদন করলে সরকার তা ভেবে দেখবে।

বারবার উচ্ছেদ অভিযানের নোটিশ দেয়া হলেও তা বারবারই থমকে যায় উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, কিন্তু এবার কোনোভাবেই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা হবে না। যেকোনো মূল্যে অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ করা হবেই। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রকার টালবাহানার সুযোগ নেই।

মন্ত্রী সৈয়দপুর রেলওয়ে সেতু কারখানার বেহাল সম্পর্কে বলেন, অচিরেই কারখানাটি সংস্কার করা হবে। নষ্ট হওয়ার পথে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার মেশিনপত্র আধুনিকায়নের মাধ্যমে কারখানাটি নতুন করে সচল করা হবে।

এ সময় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন নীলফামারী-১ আসনের সাংসদ আফতাব উদ্দিন সরকার, আওয়ামী লীগ সৈয়দপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুরের সাবেক পৌর মেয়র আখতার হোসেনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 12, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, তালিকায় ঢাকার অবস্থান দশম Dec 12, 2025
img
মাগুরায় অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৯৪ বস্তা সার জব্দ Dec 12, 2025
img
রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 12, 2025
img
নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে সদস্যদের প্রতি বিমানবাহিনী প্রধানের আহ্বান Dec 12, 2025
img
রাজধানীতে সিটি কর্পোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থীর Dec 12, 2025
img
নির্বাচন যত সহজ ভাবা হচ্ছে তত সহজ হবে না: তারেক রহমান Dec 12, 2025
img
সীমান্তে সংঘাতের মধ্যেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিল থাইল্যান্ড Dec 12, 2025
img
স্থায়িত্ব বজায় রাখাই বড় কাজ: প্রধান বিচারপতি Dec 12, 2025
img
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে : সেনাপ্রধান Dec 12, 2025
img
বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত Dec 12, 2025
img
ভোটগ্রহণে পর্যাপ্ত কর্মকর্তা না পাওয়া গেলে বেসরকারি ব্যাংক থেকে নিয়োগ Dec 12, 2025
img
দলমত নির্বিশেষে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করি : আব্দুল্লাহ Dec 12, 2025
img
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য-মালদ্বীপ ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে বৈঠক Dec 12, 2025
img
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ১৬০৬ কোটি টাকা Dec 12, 2025
img
জাদুঘর থেকে ব্রিটিশ আমলের ৬০০ এর বেশি নিদর্শন চুরি Dec 12, 2025
img
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত ৬ জাহাজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা Dec 12, 2025
img
কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস আজ Dec 12, 2025
img
পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড Dec 12, 2025
img
রাখাইনে হাসপাতালে জান্তার বিমান হামলা, নিহত বেড়ে ৩৪ Dec 12, 2025