সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর প্রশংসা করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। আরিফকে ‘মেধাসম্পন্ন’ ও ‘চৌকস’ বলে আখ্যায়িত করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এনআরবি ব্যাংক এবং আল হারামাইন পারফিউম গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান মাহতাবুর রহমান নাসিরকে শনিবার বিকালে সংবর্ধনা দেয়া হয়। নগর ভবনে দেয়া এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
অনুষ্ঠানে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, সিলেটে একটা হারমোনি রয়েছে। আমরা সবাই মিলে সিলেটের জন্য কিছু করতে চাই। রাজনৈতিক অঙ্গন হোক, পেশাজীবী হোক, ব্যবসায়ী হোক, সবাই মিলে সিলেটের জন্য যেন কিছু করতে পারি।
সিরাজ বলেন, সিলেটের সঙ্গে সারা দুনিয়ার সম্পর্ক। আমাদের এই সিলেটে বহু জ্ঞানী-গুণীর জন্ম হয়েছে। সারাদেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই সিলেট। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী প্রধান সেনাপতি ছিলেন, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ডও সিলেটের ছিলেন।
তিনি বলেন, অথচ এই সিলেট শহরে আমাদের সন্তানদের জন্য, বয়স্কদের জন্য, প্রবাসীদের জন্য, পর্যটকদের জন্য একটা পার্ক নির্মাণ করতে পারিনি। মধ্যখানে আমাদের সরকার পার্কের উদ্যোগ নিয়েছিল। সিলেটের পুরনো কারাগারকে পার্কে পরিণত করার উদ্যোগ ছিল। তখন সারা বাংলাদেশে সার্বজনীন নয়, ব্যক্তিস্বার্থে এসব জায়গায় প্রজেক্ট সাবমিট হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেখলেন এসব জায়গা অত্যন্ত ভালো জায়গা, এই জায়গাগুলোকে ধরে রাখতে হবে। আমাদের সিলেট কারাগারের ফাইলটি প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে উপস্থাপন হলো, উনি দেখলেন এখানেও একটি প্রজেক্ট আছে। সাথে সাথে ফাইলের কোণে তিনি লিখেন, বাংলাদেশে যতো পুরনো কারাগার আছে, সেগুলো দ্বিতীয় কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। মূলত জায়গাগুলো আটকানোর জন্যই এটি করেছেন তিনি।
এসময় আওয়ামী লীগের এই নেতা মেয়র আরিফের প্রশংসা করে বলেন, আমাদের মেয়র তিনি অত্যন্ত মেধাসম্পন্ন ব্যক্তি, চৌকস ব্যক্তি। উনি সবদিকে খেয়াল নজর রাখেন। পার্কের জন্য আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যারা আছেন, তাদের সবাই মিলে যেন এই জায়গায় যেন একটি পার্ক হয়, সে পদক্ষেপ নেন। আপনারা সবাই মিলে চাপ সৃষ্টি করেন, আমরা রাজনৈতিকভাবে চেষ্টা করব।
এই নেতা বলেন, এখানে (সিলেট পুরনো কারাগার) বঙ্গবন্ধু একটি সেলে থেকেছেন। ওই সেলটি সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ছাড়াও কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারওয়ার হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
টাইমস/এইচইউ