কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন ‘ডাকাত’ নিহত হয়েছে।
রোববার রাত পৌনে ৩টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের কোমল্লা এলাকায় গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, জেলার দেবিদ্বার উপজেলার চরবকর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে বাবুল (৩৯), ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোপালনগর দিঘিরপাড় গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে এরশাদুল (২৬) এবং বুড়িচং উপজেলার জগতপুর গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে অলি মিয়া (৪৩)।
পুলিশ দাবি, নিহতরা সবাই ডাকাত দলের সদস্য। নিহত ডাকাতদলের প্রত্যেক সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় পাঁচটিরও অধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় বুড়িচং থানার ওসিসহ তাদের চার সদস্যও আহত হয়েছেন।
কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ওসি মো.মাঈনুদ্দিন জানান, কুমিল্লায় গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে একদল দুর্বৃত্ত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবরে বুড়িচং থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে তিন ডাকাত আহত হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন- বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস, এসআই মোজাম্মেল, এএসআই গোলাম মহিউদ্দিন ও কনস্টেবল রফিক।
ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, চার রাউন্ড তাজা গুলি, এক রাউন্ড গুলির খোসা, একটি পাইপগান, পাঁচ রাউন্ড বন্দুকের তাজা গুলি, চার রাউন্ড খালি খোসা, ছয়টি কাঠের বাটযুক্ত ছোরা ও রামদা, তিনটি মোবাইল, দুটি টর্চলাইটসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ কুমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
টাইমস/এইচইউ