বর তার আত্মীয়-স্বজন নিয়ে কনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের কার্য সম্পাদন করে এটা বাংলাদেশে প্রচলিত নিয়ম। তবে এই প্রথা ভাঙলেন চুয়াডাঙ্গার খাদিজা আক্তার খুশি।
কনে তার আত্মীয়-স্বজন নিয়ে শনিবার হাজির হন মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার চৌগাছা গ্রামে বরের বাড়িতে। কনে খাদিজা আক্তার খুশি চুয়াডাঙ্গার হাজরাহাটি গ্রামের কামরুজ্জামানের মেয়ে। তিনি কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজে অনার্স পড়ছেন আর বর গাংনীর চৌগাছার কমরেড আব্দুল মাবুদের ছেলে তরিকুল ইসলাম জয় একজন ব্যবসায়ী।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকাল থেকেই কমরেড আব্দুল মাবুদের বাড়িতে ছিল উৎসুক মানুষের ভিড়। ভিন্নধর্মী এ বিয়ের আয়োজন দেখতেই সবার এত আগ্রহ। দুপুরে ৭টি মাইক্রোবাস ও ৩০টি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে কনে এসে নামেন বরের বাড়ির গেইটের সামনে। এ সময় কনেকে ফুল ও মিষ্টি মুখ করায় বর পক্ষ। এরপর শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী একজন মাওলানা তাদের দু’জনকে কবুল পড়ান। প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করান স্থানীয় কাজি। এরপরে বর পক্ষের দাওয়াতী আত্মীয় স্বজন ও কনে যাত্রীদের ভুড়িভোজ করানো হয়।
শনিবার বিকালে বরকে নিয়ে কনে চলে যান তার পিতার বাড়িতে। সেখানে কয়েকদিন কাটানোর পর কনেকে সাথে নিয়ে বর ফিরে আসবেন আপনালয়ে।
বিয়ের এমন আয়োজন কেন? এ প্রশ্নের জবাবে খাদিজা আক্তার বলেন, ‘নারী-পুরুষের সমান অধিকার হিসেবে একজন মেয়ে একজন ছেলেকে বিয়ে করতে তার বাড়িতে যেতে পারেন তা কখনো বাস্তবায়ন হয়নি। সেই বাধার বৃত্ত ভেঙে আমি শুরু করেছি আশা করছি অনেকেই এখন এটি করবেন।’
টাইমস/এসআই