আবরার হত্যা: জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজা দাবি ছাত্রলীগের

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যায় জড়িতদের দ্রুতবিচার আইনে বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান।

আবরার হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে সভাপতি আল-নাহিয়ান জয় বলেন, ‘আমরা দাবি জানাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য। আবরার হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে এবং হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রত্যেকের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় সে উপযোগী করে পুরো মামলাটি পরিচালনা করা হয়।’

জয় আরও বলেন, ‘সর্বপ্রকার পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে আনুষ্ঠানিক শোক প্রকাশ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি সাংগঠনিক তদন্ত কমিটি গঠন এবং কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার ভিতর রিপোর্ট জমাদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার পূর্বেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনই কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেয় না, উৎসাহ প্রদান করে না উল্লেখ করে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, ‘সংগঠনের পরিচয়-পদবী ব্যবহার করে কতিপয় ব্যক্তির অতিউৎসাহী হয়ে সংঘটিত কোনো কর্মকাণ্ডকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অতীতের ন্যায় বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও প্রশ্রয় দেবে না। সম্প্রতি সংঘটিত আবরার হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আবারও তা প্রমাণ করেছে।’

জয় বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানাই, পলাতক অপর অভিযুক্তদেরও যেন স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। একইসাথে এজাহারভুক্ত ১৯ জনের বাইরে আরও যদি কেউ এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকে তাদেরও যেন অনুসন্ধানের মাধ্যমে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হয়।’

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব পাবেন যেসব দেশের Nov 08, 2025
img
বক্স অফিসে ছোট হলেও দর্শক মন জয় করেছে ‘দ্য তাজ স্টোরি’ Nov 08, 2025
img
‘চিকিরি চিকিরি’ গানেই ভাঙল রাম চরনের ‘পেড্ডি’-র রেকর্ড Nov 08, 2025
img
রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালো চলবে: গভর্নর Nov 08, 2025
img
শাহবাগে সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ হয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত Nov 08, 2025
img
প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচে একই দলে খেললেন বাবা ও ছেলে Nov 08, 2025
img
ব্রাজিলের বেলেমে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের জলবায়ু সম্মেলন 'কপ-৩০' Nov 08, 2025
img
৩ বছরের বিরতির পর ফিরলো ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ৩’ Nov 08, 2025
img
হাসপাতালে কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে ক্যাটরিনাকে Nov 08, 2025
নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে রাজশাহী আসিনি: আসিফ নজরুল Nov 08, 2025
img
আনুশকার ‘চাকদা এক্সপ্রেস’ মুক্তির জন্য জোর প্রচেষ্টা শুরু Nov 08, 2025
img
তুরস্কে সুগন্ধি গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, প্রাণ গেল ৬ জনের Nov 08, 2025
img
টি-টোয়েন্টিতে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন অভিষেক শর্মা Nov 08, 2025
'দেশের জনগণের মালিকানার কথা বলে আমরা মালিক হয়ে যাচ্ছি' Nov 08, 2025
img
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ট‍্যারিফ কমিশনের আমদানির সুপারিশ Nov 08, 2025
img
বৈষম্যবিরোধী আইনের সংজ্ঞাই বৈষম্যমূলক: অ্যাটর্নি জেনারেল Nov 08, 2025
‘২০২৪ সালেও সিপাহী-জনতার বিপ্লবের পুনরাবৃত্তি হয়েছে’ Nov 08, 2025
img
ভোটার এলাকা পরিবর্তনের সুযোগ বাকি আর দুদিন Nov 08, 2025
img
৪ দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ Nov 08, 2025
img

ডা. শফিকুর রহমান

নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জামায়াত Nov 08, 2025