ছেলেদের আমরা পশুতে পরিণত করছি: কামাল হোসেন

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি আমরা কোনোদিন চাইনি। ছাত্ররা লেজুড়বৃত্তিক হলে সেটা ছাত্র রাজনীতি থাকে না। তার পরিণতি আমরা আজকে দেখতে পাচ্ছি। দেশকে এই অবস্থা থেকে মুক্ত করতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সকলকে বলতে হবে- এই ধরনের সন্ত্রাস বন্ধ হতে হবে। এ রকম সন্ত্রাস আমরা মেনে নিতে পারি না।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় মওলানা আকরাম খাঁ হলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আবরার হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে ড. কামাল বলেন, মতপ্রকাশের জন্য এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হাজার বছরের সভ্যতা, ঐতিহ্য, স্বাধীনতার অর্জন ও সংবিধানের ওপর আক্রমণ। সংবিধানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। আবরারকে যেভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা স্বাধীনতার আগে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা মনে করিয়ে দেয়। যারা রুগ্ন তারাই এসব করতে পারে।

গণফোরাম সভাপতি বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। যেখানে বিচার বিভাগের ব্যক্তিরা থাকুন, প্রয়োজন হলে অন্যরাও থাকুন। সাবেক আইজিও থাকতে পারেন। গতানুগতিক তদন্ত কমিটি নয়, সত্যিকার অর্থে স্বাধীন ব্যক্তি, নীতিবান ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হোক। এ কমিটি গভীরে গিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সমস্যাগুলো উদঘাটন করবে।

যারা আবরারকে হত্যা করেছে তাদের সম্পর্কে কামাল হোসেন বলেন, ‘১০-১২টা ছেলে, এদেরকে কী বলব আমি? এরা জানোয়ার। আমাদের ছেলেদেরকে আমরা পশুতে পরিণত করছি- এটা ভয়াবহ। আমার সঙ্গে একমত না হলে কাউকে পিটিয়ে মারতে হবে- এটা ষোলো আনা সংবিধানবিরোধী, এটা রাষ্ট্রবিরোধী, দেশদ্রোহিতা। আমি সেজন্য মনে করি, এটার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।’

তিনি বলেন, সংবিধান মেনে দেশ শাসন করতে হবে। এটা মানা হচ্ছে না বলেই আইনের শাসন নেই। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখছে না। এজন্য জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন।

সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে আরেক নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, মহসিন রশিদ, কেন্দ্রীয় নেতা মোশতাক হোসেন, আমিন আহমেদ আফসারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

টাইমস/এসআই

 

 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা হবে গুরুত্বপূর্ণ: নৌবাহিনী প্রধান Nov 24, 2025
ডাক্তার-আইনজীবীর মতো সাংবাদিকদেরও লাইসেন্স নিতে হবে: আখতার হোসেন Nov 24, 2025
img
গুগলে ঢাকায় ভূমিকম্পের সতর্কতা Nov 24, 2025
img

ইয়োনহাপের প্রতিবেদন

উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়ার মাঝে যেকোনও সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা Nov 24, 2025
img
রামায়ণ’-এর জন্য আমিষ ত্যাগ? রণবীরের সত্যতা নিয়ে বিতর্ক Nov 24, 2025
১৭ বছর পর তারেক রহমান; দেশে ফেরার প্রস্তুতি চূড়ান্ত Nov 24, 2025
img
ভূমিকম্প প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক Nov 24, 2025
img
দিলীপ কুমারের বাংলোতে 'অনুপ্রবেশ' করেছিলেন কলেজপড়ুয়া ধর্মেন্দ্র! Nov 24, 2025
img

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে Nov 24, 2025
img
জানা গেল ধর্মেন্দ্রর রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ! Nov 24, 2025
যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি পরিকল্পনায় বড় অগ্রগতি Nov 24, 2025
img
নির্বাচনী প্রচারণায় জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ব্যবহার নিষিদ্ধ Nov 24, 2025
img
মৃত্যুর আগে কি বলেছিলেন কিংবদন্তী এই অভিনেতা Nov 24, 2025
img
গুয়াহাটিতে প্রোটিয়াদের পূর্ণ দাপট, ৩১৪ রানে এগিয়ে দক্ষিন আফ্রিকা Nov 24, 2025
img
অস্ট্রেলিয়ায় নির্বাচিত রানার প্রথম এআই ছবি ‘মাইন্ড ইট’ Nov 24, 2025
img
বোরকা পরে সিনেটে হাজির অস্ট্রেলিয়ান নেতা পলিন হ্যানসন Nov 24, 2025
img
‘ফার্স্ট লাভ’ ছবির নায়িকা হচ্ছেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ নীলা Nov 24, 2025
img
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য চাইল সরকার Nov 24, 2025
img
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে মালয়েশিয়াতে ন্যূনতম বয়স ১৬ নির্ধারণ Nov 24, 2025
img
স্কুল শিক্ষকের ছেলে থেকে বলিউডের কিংবদন্তি, ধর্মেন্দ্রের যাত্রা Nov 24, 2025