আমাকে সততার পরীক্ষা দিতে হবে না: মেনন

রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘আমাকে আজকে আর সততার পরীক্ষা দিতে হবে না, এর প্রয়োজন নেই। আমি সৎ ছিলাম, সৎ আছি।

শনিবার সকালে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ওয়ার্কার্স পার্টির দশম কংগ্রেসে এ কথা বলেন মেনন।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। দারিদ্র্য কমেছে, শিক্ষার হার বেড়েছে। দেশ বিদ্যুৎ ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু সেই উন্নয়নে দেশের সব মানুষ ভাগীদার হয়নি। কিছু মুষ্টিমেয় মানুষদের হাতে প্রচুর অর্থবিত্ত হয়েছে। তারাই দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করছে।

জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে কংগ্রেস উদ্বোধন করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।

এই কংগ্রেসের মাধ্যমে দলের পরবর্তী নীতি-কৌশল যেমন ঠিক হবে, তেমনি নতুন নেতৃত্বও গঠিত হবে।

এই কংগ্রেসের আগেই দল ছেড়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান পলিটব্যুরোর সদস্য বিমল বিশ্বাস। আদর্শচ্যুতির অভিযোগ তুলে কংগ্রেস বর্জন করে আলাদা দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন আরও ছয়জন কেন্দ্রীয় নেতা।

দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন বলেন, ‘আমরা কারও ঘাড়ে হাত রেখে রাজনীতি করব না। কারও ছায়াতলে আমরা রাজনীতি করব না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজস্ব সংগ্রাম ও দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে রাজনীতি করব।’

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল যে ২৩ দফা দাবির ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়েছিল, তা কতটা সফল হয়েছে তা পর্যালোচনার সময় এসে গেছে বলেও মন্তব্য করেন বাদশা।

তিনি বলেন, ‘দুঃশাসনে মানুষের অনাস্থায় সাম্প্রদায়িক শক্তি অজগরের মতো বিকশিত হয়েছে। দক্ষিণপন্থি শক্তি প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে উঠছে। আজকে আরব বিশ্ব বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নিতে নানা ষড়যন্ত্র করেছে। নিজেদের সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থে তারা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মদদ দিচ্ছে।’

কংগ্রেসে ২১ দফা দাবি উত্থাপন করা হবে বলে জানান বাদশা।

এবারের কংগ্রেসে ৫৮টি জেলা থেকে সাড়ে ৭০০ প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন বলে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা জানান। ২০০৮ সালের ৭ অগাস্ট ওয়ার্কার্স পার্টির নবম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: