সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়ে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাছাড়া নবগঠিত কমিটিতে যুবদলের সাবেক নেতাদের মূল্যায়ন না করা হয়নি বলেও তাদের অভিযোগ রয়েছে।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ হক, তাহসীনা রুশদীর লুনা,ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন নেতা দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা গেছে, শনিবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে কেন্দ্রীয় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে লিখিত আবেদন করবেন।
এই কমিটি লন্ডন থেকে দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বলেন, ‘রাজপথে যারা আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তাদেরকে জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়নি। যারা দলের পক্ষে আন্দোলন করে নির্যাতিত হয়েছেন তাদেরকেও মূল্যায়ন করা হয়নি। যার কারণেই আমরা কেন্দ্রীয় পদ থেকে পদত্যাগ চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করব।’
প্রায় ৮-১০ জন কেন্দ্রীয় নেতা পদত্যাগ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
দলকে লন্ডন থেকে নিয়ন্ত্রণ করে বেকায়দায় ফেলা হচ্ছে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘যুবদলের যে কমিটি করা হয়েছে তাতে পুরনো কেউ নেই। নতুনদের নেতৃত্বে দেয়া হয়েছে। যারা দলের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতিত হয়েছেন, কারা ভোগ করেছেন তাদেরকে মূল্যায়ন না করেই যারা আন্দোলনে না থেকে পালিয়ে ছিলেন তাদেরকে দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। যারা বঞ্চিত হয়েছেন তারা আমাদের কাছে প্রতিকার চেয়েছে। আমরা সমাধান দিতে পারিনি বলেই পদত্যাগ করতে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পদত্যাগ করার পর পরবর্তীতে বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতারাও গণপদত্যাগ করবেন।’
শুক্রবার যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার কমিটি ঘোষণা করেন।
ঘোষিত কমিটিতে জেলার আহ্বায়ক করা হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান পাপলুকে ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক করা হয় নজিবুর রহমান নজিবকে। এছাড়াও জেলা শাখার ২৯ সদস্য ও মহানগর শাখায় যুবদলের ২৭ জনকে সদস্য করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
টাইমস/এসআই