তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলার প্রস্তুতি ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে বারবার নির্দেশনা দিয়েছেন, নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। আর যে বিএনপি আমাদের সরকারের প্রস্তুতিকে অপর্যাপ্ত বলছে, তাদের নেত্রীর প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, তাদের সময় ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর মানুষের লাশ পানিতে ভেসেছে, পুরো চট্টগ্রামে লাশের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল।
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শহীদ নূর হোসেন সংসদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ প্রাণহানি ও ব্যাপক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি বলেছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নাকি যথেষ্ট নয়। অথচ ব্যাপক ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতির ফলে আমাদের প্রাণ ও সম্পদ উভয়ই ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আমি তাদের বলব নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখতে।’
‘সে সময়ে বিমানবাহিনীর ৩৫টির বেশি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল শুধু ব্যবস্থাপনার ত্রুটিতে, কারণ বিমান তো উড়িয়েই অন্যত্র নেওয়া যেত। বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারগুলো চলে এসেছিল রাস্তায়।’
নূর হোসেন ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই সঙ্গে এ দেশের মানুষ ভাত ও ভোটের অধিকার পেয়েছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
টাইমস/এসআই