গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার: রিজভী

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। এছাড়া করোনা প্রাদুর্ভাবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাসভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সরকার গণপরিবহনের চিহ্নিত সিন্ডিকেটের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।

মঙ্গলবার রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে রিজভী বলেন, শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর কথা থাকলেও সরকার সেটি কোনোভাবেই বাস্তবায়ন করতে পারেনি। গণপরিবহন চালুর প্রথমদিন থেকেই চরম ভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা হচ্ছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যম মারফত দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে।

রিজভী আরও বলেন, দূরপাল্লার বাসগুলোতে গাদাগাদি করে যাত্রী নেয়া হচ্ছে। লঞ্চেও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। লঞ্চে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। রাজধানীর গণপরিবহনের চিত্র আরও বেহাল। আসলে সরকার গণপরিবহন সিন্ডিকেটের কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে।

গণপরিবহনের সিন্ডিকেটের স্বার্থে সরকার ভাড়াবৃদ্ধি ও গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, সরকার জনস্বার্থে সফল নয়, কিন্তু দুষ্কর্মের সাথী হতে খুবই দক্ষ। আসলে সরকার দুর্যোগ, মহামারী, দুর্ভিক্ষ এবং জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

অনলাইন ব্রিফিংয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ঢাকা থেকে কোনো কোনো বাসে অর্ধেক যাত্রী তোলা হলেও ঢাকার বাইরে গিয়ে বেশি যাত্রী তোলা হচ্ছে। যা গণমাধ্যমে এসেছে। শুধু তাই নয়, বাসে ৬০ শতাংশ ভাড়া নেয়ার কথা থাকলেও কোথাও কোথাও ৮০ শতাংশ অথবা দ্বিগুন ভাড়া নেয়া হচ্ছে। এগুলো সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতারই নির্দশন।

সম্প্রতি এক্সিম ব্যাংকের এমডি-ডিএমডিকে গুলি করার হুমকি ও নির্যাতন করার মামলায় অভিযুক্ত সিকদার গ্রুপের কর্ণধার দুই ভাইয়ের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে প্রতারণাপূর্বক দেশত্যাগ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যাংক লুটপাটকারীদের পালাতে সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। এটি সম্পূর্ণরুপে স্টেট টেরোরিজম। অতীতেও এই সরকার ব্যাংক লুটপাটকারীদের নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে নিরাপদ রেখেছিল। সিকদার গ্রুপের দুই কর্ণধারের পলায়ন তারই একটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জেনে নিন দেশের বাজারে আজকের স্বর্ণ ও রুপার দাম Dec 07, 2025
img
গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ Dec 07, 2025
img
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রগতির ইঙ্গিত জেলেনস্কির Dec 07, 2025
img
আন্তর্জাতিক প্রটোকল মেনেই ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হবে: সিআইডি প্রধান Dec 07, 2025
img

আলাউদ্দিন সিকদার

কেন্দ্র দখলের ইতিহাস জামায়াতের নেই Dec 07, 2025
img
শাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ১৯১ জন Dec 07, 2025
img
জুলাই শহীদ অজ্ঞাতনামা ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তের কার্যক্রম শুরু Dec 07, 2025
img
শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া, তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রিতে Dec 07, 2025
img
ইন্দোনেশিয়ায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৯০০, নিখোঁজ অন্তত ২৭৪ Dec 07, 2025
img
তারিক সিদ্দিকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ Dec 07, 2025
img
এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত হলো ভারতীয় রুপি Dec 07, 2025
img
বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ Dec 07, 2025
img
ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত মিললেও ফের পতনে ঢাকার পুঁজিবাজার Dec 07, 2025
img
সালমান-আনিসুলকে নেয়া হলো ট্রাইব্যুনালে Dec 07, 2025
img
ভাঙা প্রেম জুড়তে বা ব্রেকআপের জন্য বিরতি নিইনি: স্বস্তিকা দত্ত Dec 07, 2025
img
মা হওয়ার পরও থেমে থাকিনি, পরিস্থিতি সামলানোই আসল: শুভশ্রী গাঙ্গুলী Dec 07, 2025
img
দুই-রাষ্ট্র সমাধানই একমাত্র পথ : সৌদি আরব Dec 07, 2025
img
আজ থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে সরকার Dec 07, 2025
img
পশ্চিম তীর দখলের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহুর দেশকে সতর্ক করল জার্মানি Dec 07, 2025
img
বাছাই করে কাজ করছি, এমন নয় বিষয়টা: প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় Dec 07, 2025