জন্মদিনে মৃত্যুর কথা স্মরণ করলেন মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৭১তম জন্মদিন ২৬ ডিসেম্বর শুক্রবার।

এদিন ভোরে স্ত্রী রাহাত আরা, ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ও নাতির শুভেচ্ছা নিয়ে দিন শুরু করেন মির্জা ফখরুল।

এরপর অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বড় মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মির্জা শামারুহর সঙ্গে কথা হয়েছে তার। ঢাকার কয়েকজন কাছের বন্ধুও টেলিফোন করে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও মহাসচিবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

সকাল সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে নিজের চেম্বারে আসেন বিএনপি মহাসচিব।

দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান মহাসচিবকে।

নেতাদের নিয়ে তিনি চা-বিস্কুট খেয়ে সাংগঠনিক কাজকর্ম সারেন ফখরুল। পরে সাংবাদিদের মুখোমুখির প্রথমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালে হেসে উত্তর দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এই বৃদ্ধ মানুষদেরকে জন্মদিনের কথা বললে তাদের মৃত্যুদিনের কথা মনে করে দেয়া হয়। আমাদের মৃত্যু যে ঘনিয়ে আসছে, আরও একটি বছর চলে গেল। নিয়ার আর টু ডেথ।'

বয়স এখন কত প্রশ্ন করা হলে হেসে হেসে ফখরুল বলেন, একাত্তরে পড়লাম। আমাদের তো আর গোপন করার কিছু নেই।

মির্জা ফখরুলের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি, ঠাকুরগাঁওয়ে। বাবা প্রয়াত মির্জা রুহুল আমিন মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন, মন্ত্রীও ছিলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ফখরুল ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন তিনি। ঢাকা কলেজসহ কয়েকটি সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন তিনি।

সরকারি চাকরি ছেড়ে আশির দশকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হন ফখরুল। ২০০১ সালে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চারদলীয় জোট সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বপালন করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব হওয়ার আগে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন ফখরুল। এ পদটি সৃষ্টি করা হয়েছিল তারেক রহমানের জন্য।

তিনি দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর ওই পদে মির্জা ফখরুলকে আনেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

 

টাইমস/এক্স

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সালাহকে নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্তের পরামর্শ ওয়েন রুনির Nov 25, 2025
সিন্ধু ভারতের অংশ হবে রাজনাথের এমন মন্তব্যে তীব্র নিন্দা পাকিস্তানে/র Nov 25, 2025
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ১৭ এনবিআর কর্মকর্তার Nov 25, 2025
ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে চায় জার্মানি Nov 25, 2025
img
১০ মাসে সাড়ে ২৮ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে চট্টগ্রাম বন্দর Nov 25, 2025
গণমাধ্যমকে অনেকভাবে চেপে ধরার চেষ্টা করা হয় Nov 25, 2025
চিকেনস নেক ঘিরে ভারতের উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক Nov 25, 2025
সাংবাদিকদের একটি ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন: মিলটন আনোয়ার Nov 25, 2025
পদত্যাগী বিচারকের মুখে মিস ইউনিভার্স বিতর্ক তুঙ্গে Nov 25, 2025
‘অ্যানিমেল’ সাফল্যের পর তৃপ্তি দিমরির নতুন চ্যালেঞ্জ Nov 25, 2025
সালাহকে বেঞ্চে বসানোর পরামর্শ রুনির Nov 25, 2025
img
‘এ’ ক্যাটাগরিতে স্থান পেল ৮১ সরকারি কলেজ Nov 25, 2025
img
শরীয়তপুরে নিরাপদ খাদ্য আইনে মামলা, দুই ব্যবসায়ীকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা Nov 25, 2025
img
অ্যামাজন প্রাইমে রাজের ‘ওমর’ Nov 25, 2025
img
১৮ পদে বেতন কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের Nov 25, 2025
img
ক্লান্তিকে সাফল্যের মানদণ্ড মনে করা ভুল: প্রিয়াঙ্কা Nov 25, 2025
img
জীবনের আসল শিক্ষক ব্যর্থতা Nov 25, 2025
img
জামায়াত নেতার বক্তব্যে প্রমাণিত তারা নির্বাচনী ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত : প্রিন্স Nov 25, 2025
img
দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে : সাকি Nov 25, 2025
img
নিজের কবর নিজে খুঁড়েছি : শেফালি শাহ Nov 25, 2025