নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে এক প্রার্থীর সমর্থকরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের লাঠিচার্জ ও ছোড়া রাবার বুলেটে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার বিকেলে জেলা শহর মাইজদী টাউনহল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা হানিফ সোহেল (গুলিবিদ্ধ), শাওন, জাহিদ ও পিংকুসহ ১০ জন। তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৮ জুন নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হচ্ছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক এ কে এম শামসুদ্দিন জেহান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট।
রোববার প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য সদর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনের সভাপতিত্বে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের দলীয় কাউন্সিলরগন অংশগ্রহণ করেন।
সভায় যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্টের নাম বাদ দিয়ে অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন এবং এ কে এম শামসুদ্দিন জেহানের নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক বিকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রার্থী নির্ধারণী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তালিকা থেকে ইমন ভট্টের নাম বাদ পড়েছে এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ইমন ভট্টের অনুসারীরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে গিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ, যাত্রীবাহী গাড়ি ও বিভিন্ন স্ট্যান্ডে থাকা অন্তত ৫০টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ উত্তেজিত কর্মীদের বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।
এই ব্যাপারে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট বলেন, তার কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, সভা চলাকালীন ইমন ভট্টের লোকজন অতর্কিত দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, ইমন ভট্টের লোকজন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করলে পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপরও হামলা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও ফাঁকা পাঁচ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে কিনা তা জানেন না জানিয়ে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
টাইমস/এইচইউ