সুযোগসন্ধানীদের আমাদের দরকার নেই: হাছান মাহমুদ

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায়। দলের মধ্যে অনেক সুযোগসন্ধানী ও অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। তাদের চিহ্নিত করতে হবে। সুযোগসন্ধানীদের আমাদের দরকার নেই। সবার দল করার অধিকার থাকলেও পদ পাওয়ার অধিকার নেই। দলের পদ দিতে হবে বেছে বেছে।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘গণতন্ত্র বন্দী দিবস’ পালন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নয়, দেশের গণতন্ত্রকে বন্দী করা হয়েছিল। মানুষের অধিকার হরণের জন্য মূলত তখন তাকে আটক করা হয়। তাই ১৬ জুলাই শেখ হাসিনার বন্দী দিবস নয়, গণতন্ত্রের বন্দী দিবস পালন করা হচ্ছে।

সে সময়ের সেনাসমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারা যদি সত্যিকারের ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করত, তাহলে প্রথমে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি তারা করেনি- বলেন হাছান মাহমুদ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ নিরাপদ। তার হাত থেকে যদি অন্য কারও হাতে যায়, তাহলে দেশ আবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে আবার খুনখারাবি বাড়বে ও দেশ পথ হারাবে। তাই দেশের যে অগ্রগতি, এই অগ্রগতিকে ধরে রাখতে হলে আজকের তরুণেরা যে স্বপ্ন দেখেন, সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।

বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতির আদর্শগত পার্থক্য রয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি হচ্ছে ব্রত। আওয়ামী লীগ জনগণের উন্নয়নের ও দেশের জন্য রাজনীতি করে। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে হালুয়া-রুটি ভাগাভাগির রাজনীতি।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন ক্ষমতার হালুয়া–রুটি বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন। হালুয়া-রুটি খেয়ে তখন যারা বিএনপিতে যোগদান করেছিলেন, তারা এখন বিএনপির বড় বড় নেতা। বিএনপির সঙ্গে আমাদের পার্থক্য সেখানেই।

 

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নারীবাদীদের ‘নোংরা দুশ্চরিত্রা’ হিসেবে অভিহিত করলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী Dec 10, 2025
img
রুশ সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, নিহত সব আরোহী Dec 10, 2025
img
পাকিস্তানকে আরও ১২০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ Dec 10, 2025
img
পেনাল্টিতে ইন্টারের মাঠে লিভারপুলের জয় Dec 10, 2025
img
বেইজিং চুক্তি বাস্তবায়নে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে সৌদি আরব, ইরান ও চীন Dec 10, 2025
img

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

কুন্দের জোড়া গোলে ফ্রাঙ্কফুর্টকে হারাল বার্সেলোনা Dec 10, 2025
img
বেপরোয়া প্রাইভেট কারের ধাক্কায় পিকআপ উল্টে নষ্ট হাজারো ডিম Dec 10, 2025
img
ঝিনাইদহে ২ ট্রাকের সংঘর্ষ, প্রাণ গেল চালকের Dec 10, 2025
img
রাবিতে ভর্তির পরীক্ষা শুরু ১৬ জানুয়ারি, পৌনে ৩ লাখের আবেদন Dec 10, 2025
img
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৭ Dec 10, 2025
img
অসীম কুমার উকিলের ৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ Dec 10, 2025
img
চাল নিয়ে ভারতের ‘টুঁটি চেপে’ ধরতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Dec 10, 2025
img
পদোন্নতি পাচ্ছেন শেখ হাসিনার পক্ষে বিবৃতি দেওয়া শিক্ষক Dec 10, 2025
img
টাঙ্গাইলে কাভার্ডভ্যানের পেছনে মালবাহী ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল ২ জনের Dec 10, 2025
img
নিন্দুকদের কথা পাত্তা দেন না তারেক রহমান, বিজয়ীর বেশেই দেশে ফিরবেন: আতিকুর রহমান রুমন Dec 10, 2025
img
ভুয়া র‍্যাবের ডাকাতির প্রস্তুতি, পল্টন থেকে গ্রেপ্তার ৬ Dec 10, 2025
ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো বাড়াবাড়ি: মমতা Dec 10, 2025
ন্যাটোতে আক্রমনের পরিকল্পনা নেই পুতিনের Dec 10, 2025
মোসাদ সদরদপ্তরে ইরানের হামলায় নিহত ৩৬ : মোহাম্মদ নাঈনি Dec 10, 2025
আগামীর নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষকে ভুল ভাবে প্রভাবিত করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে Dec 10, 2025