চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুধু ঢাকায় নয়; পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই চলবে। এই অভিযানের মাধ্যমে টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে। যত বড় মাস্তান, যত বড় নেতা, আর যত বড় প্রভাবশালীই হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

শনিবার বিকালে স্থানীয় পর্যটন গলফ মাঠে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের ভেতরে তৈরি হওয়া আগাছা পরগাছা পরিষ্কার করতে অ্যাকশন শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের না ফেরাতে মিয়ানমারের হাতে অজুহাতের অস্ত্র তুলে দিচ্ছে বিএনপি। তারা আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে বিদেশে বসে বাংলাদেশের সরকারকে হটানোর চেষ্টা করছে। গত দুই বছরে তারা দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে বিভিন্ন রকম নালিশ করলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো কথা বলেনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সম্মেলনে গেছেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের জন্য, মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির জন্য। শেখ হাসিনা ও তার সরকার এদেশের জনগণের সাথে রয়েছে।

মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের এই প্রতিনিধি সম্মেলন। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের আগে কক্সবাজারের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন শেষ করতে হবে। কমিটিতে দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে।

তিন দিনের সফরে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার দুপুরে কক্সবাজার বিমান বন্দর পৌছেন। এসময় নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপি, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, জাফর আলম এমপি, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষকদের সমর্থন প্রকাশ Sep 17, 2025
img
বিতর্কের পর অবশেষে পাকিস্তানের ‘বিজয়’, আসছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত Sep 17, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে নাহিদ ইসলাম Sep 17, 2025
img
একনেকে ৮৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন Sep 17, 2025
img
এই সরকার জামায়াত-এনসিপির সরকার : শামীম পাটোয়ারী Sep 17, 2025
img
‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’, কারাগারে যাওয়ার আগে ব্যারিস্টার সুমন Sep 17, 2025
img
প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ঢাকা-নোয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ Sep 17, 2025
img
সাবেক ডিসি সুলতানার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন Sep 17, 2025
img
‘স্যার আপনার জন্য ১ লাখ টাকা আছে’, ডিএনসিসি প্রশাসককে প্রস্তাব দেওয়া কর্মকর্তা বরখাস্ত Sep 17, 2025
img
মিয়ানমারের ১২১ আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের Sep 17, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের চাপে আপাতত ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান Sep 17, 2025
img
সাংবিধানিক ক্রাইসিসের সমাধান না হলে গণ-অভ্যুত্থানের মতো পরিস্থিতি হবে : তুষার Sep 17, 2025
img
আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য নৈতিক শিক্ষা জরুরি : ডা. শাহাদাত Sep 17, 2025
তরুণ আন্দোলন ও সরকার পতন: দক্ষিণ এশিয়ার নতুন ধারা Sep 17, 2025
img

মার্কিন নাগরিককে ঘিরে চাঞ্চল্য

বিমানবন্দরে আনতে যান পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা, হোটেলের ভাড়া দেন জাপা নেতা Sep 17, 2025
img

আলী রীয়াজ

কমিশন এক মাস সময় নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখতে উৎসাহী নয় Sep 17, 2025
img
শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ, ঢাকা-দিনাজপুর ট্রেন চলাচল বন্ধ Sep 17, 2025
img
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সংসদ নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট করার পরামর্শ Sep 17, 2025
img
নির্বাচনের ৬ বছর পর ডাকসুর জিএস হতে পারেন রাশেদ খান Sep 17, 2025
img
১৭ বিয়ের অভিযোগে বরখাস্ত বরিশালের সেই বন কর্মকর্তা Sep 17, 2025